কানাডায় চলতি গ্লোবাল কানাডা টি-২০ লীগের দ্বিতীয় মরশুমে বৃহস্পতিবার প্লে অফ রাউন্ডা শুরু হয়েছে। প্লে অফ টপ ৪ দলের মধ্যে লড়াইতে টরেন্টো ন্যাশনালস আর ভিনিপেগস হকসের মধ্যে এলিমিনেটর ম্যাচ খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে যুবরাজ সিংয়ের দল টরেন্ট ন্যাশনালসকে ভিনিপেগস হকস ডাকওয়ার্থ লুইসের নিয়মের আধারে ২ রানে হারিয়ে দিয়েছে।
ভিনিপেগস হকস টরেন্টো ন্যাশনালসকে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে হারাল ২ রানে
গ্লোবাল কানাডা টি-২০ লীগের দ্বিতীয় মরশুমের এই এলিমিনেটর ম্যাচ পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় আর চতুর্থ নম্বরের দল ভিনিপেগস হকস আর টরেন্টো ন্যাশনালসের মধ্যে ম্যাচ খেলা হয়েছে যেখানে ভিনিপেসগ ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে এই ম্যাচ ২ রানে জিতে নিয়েছে।
টরেন্টো ন্যাশনালস এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত প্রদর্শন করে ২০ ওভারে ২৩৮ রানের পাহাড়প্রমাণ লক্ষ্য দাঁড় করায়। এর জবাব বৃষ্টির মধ্যে ভিনিপেগস ১৭.১ ওভারে ২০১ রান করে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২ রানে জয় হাসিল করে।
হেনরিচ ক্লাসেনের সেঞ্চুরির সাহায্যে টরেন্টো করে ২৩৮ রান
এলিমিনেটর ম্যাচে ভিনিপেগের অধিনায়ক রিয়াদ ইমরিত টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন। যুবরাজ সিং এই ম্যাচে টরেন্টোর হয়ে প্রত্যাবর্তন করেন। ওপেনার চিরাগ সুরি আর রড্রিগস থমাস প্রথম উইকেটের হয়ে ৪২ রান যোগ করেন। যারপর সুরি ১১ বলে ১৬ রান করে উয়াট হন। এরপর ক্লাসেন ব্যাট করতে আসেন। তিনি এসেই বিস্ফোরক শটস খেলতে শুরু করে দেন। ক্লাসেন রড্রিগসের সঙ্গে মিলে নিজের দলকের স্কোরকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যান আর দ্বিতীয় উইকেটের হয়ে মাত্র ৬২ বলে ১৩৭ রান যোগ করেন। এখানে রড্রিগস থমাস ৪০ বলে ৭৩ রান করে আউট হন।
তো অন্যদিকে যুবরাজ সিংকে আবারো ৮ রান করে আহত হয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হতে হয়। এরপর কায়রন পোলার্ড কিছু বিশেষ করতে পারেননি, কিন্তু হেনরিচ ক্লাসেন ৪৯ বলে ১০৬ রান করে নিজের দলের স্কোরকে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩৮ রানে পৌঁছে দেন।
বৃষ্টির মধ্যে ভিনিপেগস ১৭.১ ওভারে ২০০ রান করে হাসিল করে জয়
ভিনিপেগসের সামনে একটা বড়ো পাহাড়প্রমান লক্ষ্য ছিল। এই অবস্থায় তাদের ওপেনার ক্রিস লিনের সঙ্গেই শোমান আনওয়ারের কাছে বড়ো আশা ছিল। কিন্তু হকসের শুরুর তিন ব্যাটসম্যানই ৪৯ রানের স্কোরে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কিন্তু এই ৪৯ রান ৩.৫ ওভারেই তুলে ফেলেছিল তারা। এরপর অভিজ্ঞ জেপি দুমিনি দায়িত্ব সামলান।
জেপি দুমিনি এরপর সন্ত্রী সোহেলের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটের হয়ে দ্রুতগতিতে ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। সোহেল ২৯ বলে ৩৬ রান করে দলের ১৪০ রানের মাথায় আউট হন। এরপর হামজা তারিখ বিশেষ কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু দুমিনি আক্রমণ জারি রাখেন। অধিনায়ক রিয়াজ ইমরিত ১৫ বলে ৩৩ রান করেন আর দুমিনির সঙ্গে স্কোর ১৭.১ ওভারে ২০০ রানের লক্ষ্য হাসিল করে আর সেই সঙ্গেই তারা এই ম্যাচ ২ রানে জিতে যায়। দুমিনি ৪১ বলে অপরাজিত ৮৫ রান করেন।