যুবরাজ সিং নিজের শেষ ম্যাচ জুলাই ২০১৭য় ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। তারপর থেকে কখনো তিনি ভারতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি। শেষমেশ তিনি জুন ২০১৯এ অবসর ঘোষণা করে দেন। নিজের অবসরের তিনমাস পরে তিনি নিজের একটি ইন্টারভিউতে ভারতীয় দলের নির্বাচকদের উপর জমিয়ে নিশানা সেধেছেন।
ভাবিনি ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের পর ড্রপ করা হবে
যুবরাজ সিং স্পোর্টসতককে দেওয়া নিজের একটি ইন্টারভিউতে বলেন, “আমি ভাবিনি যে আমাকে ওয়েস্টইন্ডিজ সিরিজের পর ড্রপ করে দেওয়া হবে, কারণ আমি তার আগে যে ৮-৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলাম, তাতে ২টি ম্যাচে আমি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ছিলাম। আমার স্ট্রাইকরেট ৯৮ ছিল আর আমার যা গড় ছিল তা ৪২ এর উপরে ছিল। আমি মিডল অর্ডারে ভাল করছিলাম, আমি যখন হঠাৎ করে চোট পাই, তো আমাকে বলা হয় যে আপনি শেষ টি-২০ খেলো না আর শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রস্তুতি নাও”।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইয়ো-ইয়ো টেস্টের বাহানা দিয়ে দেওয়া হয় বাদ
যুবরাজ সিং নিজের কথা আগে এগিয়ে বলেন, “এরপর আমাকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট পাশ না করার কারণে বাদ দেওয়া হয়। আমাকে বলা হয়েছিল তুমি ইয়ো-ইয়ো টেস্ট পাশ করে নাই, তো তুমি দলে আসবে। কিন্তু যখন আমি ইয়ো-ইয়ো টেস্ত পাশ করে নিই তখনো আমাকে দলে নির্বাচিত করা হয়নি আর তারপর বলা হয় যে তুমি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলো। সম্ভবত ওরা ভাবছিল যে এই ৩৬ বছর বয়েসে আমার দ্বারা ইয়ো-ইয়ো টেস্ট পাশ করা হবে না। সম্ভবত তিনি ওরা বাহানা বানিয়েছিল, ওরা আমার চেয়ে আগে দেখে ফেলেছিল, আর ওরা আমাকে নির্বাচিত করতে চাইছিল না”।
আমার কেরিয়ার নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথা বলা হয়নি
যুবরাজ আগে নিজের ইন্টারভিউতে বলেন, “আমার মনে হয় যে খেলোয়াড় দেশের হয়ে ১৫-১৭ সাল খেলেছে, তাকে আপনার তার কেরিয়ারের ব্যাপারে বসে ভাল করে বলা উচিৎ, কিন্তু আমার কেরিয়ার নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথা বলা হয়নি। যদিও আমার সঙ্গে তো কি, বীরেন্দ্র সেহবাগ, জাহির খানের মত খেলোয়াড়দের সঙ্গেও তাদের কেরিয়ারের ব্যাপারে কোনো কথা বলা হয়নি”