ভারতীয় ক্রিকেট দলে দীর্গব সময় পর্যন্ত মিডল অর্ডারে ম্যাচ উইনার হিসেবে যুবরাজ সিংয়ের নাম শামিল ছিল। যুবরাজ সিং ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে তিন ফর্ম্যাটে খেলার সফলতা হাসিল করেছিলেন। কিন্তু যেভাবে তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রদর্শন করেছেন তাতে তাকে ভারতের ভীষণই স্পেশাল খেলোয়াড়দের মধ্যে শামিল করা হয়।
যুবরাজ সিং নিজের কেরিয়ার নিয়ে বললেন কথা
ভারতীয় ক্রিকেট দলে ২০০৭ এর বিশ্ব টি-২০র পর ২০১১ সালে খেলা হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে যুবরাজ সিং ভারতীয় দলের খেতাবি জয়ে নায়ক হিসেবে ছিলেন। তিনি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ যোগদান দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১১র বিশ্বকাপের পর তার জায়গা এবং প্রদর্শন দুটিতেই অস্থিরতা দেখতে পাওয়া যায়। যুবরাজ সিং এরপর বারবার সুযোগ পেতে থাকেন আর তিনি ২০১৫র বিশ্বকাপের পর প্রত্যাবর্তন করেন আর ২০১৭য় দলে খেলেন। কিন্তু যুবির জন্য ২০১৭য় ওয়েস্টইন্ডিজের সফর শেষ সফর প্রমানিত হয় আর তাকে এরপর সুযোগ দেওয়া হয়নি। যুবরাজ সিং নিউজ ১৮ এর সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তায় জানিয়েছেন যে কীভাবে তিনি বিরাট কোহল্রি কারণে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পান তো অন্যদিকে ধোনির বিরুদ্ধে কোনো রকম অভিযোগ করতে অস্বীকার করেছেন।
ধোনি ২০১৯এর বিশ্বকাপের পরিকল্পনা নিয়ে করে দিয়েছিলেন পরিস্কার
যুবরাজ সিং বলেন যে,
“যখন আমি প্রত্যাবর্তন করি, তো বিরাট কোহলি আমাকে সমর্থন করেন। যদি ও আমার সমর্থন না করে থাকত তো আমি প্রত্যাবর্তন করতাম না। কিন্তু এরপর ধোনি আমাকে ২০১৯ বিশ্বকাপের ব্যাপারে সঠিক ছবি দেখান যে নির্বাচকরা আপনাকে দলে দেখছেন না”।
বিশ্বকাপ ২০১৯এ ভারতীয় দলের পরিকল্পনায় না থাকার কথা নিয়ে যুবি পরিস্কারভাবে ধোনির ব্যাপারে বলেন যে, “ও আমাকে আসল ছবি দেখায়। ও আমাকে স্পষ্টতা দেখিয়েছে। ও যতটা করতে পারত ততটা করেছে”।
মহেন্দ্র সিং ধোনি করতেন আমার উপর ভরসা
এরপর আগে যুবরাজ সিং বলেন যে,
“২০১১র বিশ্বকাপ পর্যন্ত এমএসের আমার উপর ভীষণই ভরসা ছিল আর ও আমাকে বলত যে তুমি আমার প্রধান খেলোয়াড়। কিন্তু রোগ থেকে ফেরত আসার পর খেলা বদলে যায় আর দলে অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়। যতদূর বিশ্বকাপ ২০১৫র প্রশ্ন আপনি বাস্তবে কোনো বিষয়ে যেতে পারেন না। সেটা নিজের একটা পার্সোনাল কল। এই কারণে আমি বুঝে যাই যে একজন অধিনায়ক হিসেবে কখনো কখনো আপনি সবকিছু সঠিক করতে পারেন না কারণ দিনের শেষে আপনাকে দেখতে হবে যে দেশের হয়ে আপনার দল কেমন প্রদর্শন করে”।