টিম ইন্ডিয়ার বিস্ফোরক অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের পরিচিতি সিক্সার কিং নামে করেছেন। যুবি আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০০৭ এ স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিশানা করে তার ৬ বলে ৬টি ছক্কা মেরেছিলেন। কিন্তু স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারের আগে ইংল্যান্ডের জোরে বোলার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটপ আর যুবরাজের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছিল, যার ফল স্টুয়ার্ট ব্রডকে ভুগতে হয়েছি। আজ বহু বছর পর যুবরাজ খোলসা করে জানিয়েছেন যে তাকে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটপ কী বলেছিলেন।
ফ্লিনটপ দিয়েছিলেন গলা কাটার হুমকী
আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের লীগ ম্যাচ চলাকালীন যখন ভারত-ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয় তো টিম ইন্ডিয়া দুর্দান্ত প্রদর্শন করে জয়লাভ করে। ভারতের ব্যাটিং চলাকালীন যুবরাজ সিং আর মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিজে ছিলেন। তকননই অ্যান্ড্রু ফ্লিনটপ যুবরাজের সঙ্গে তর্ক করতে শুরু করেন। এখন যুবরাজ একটি ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলতে গিয়ে খোলসা করেছেন যে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটপ তাকে গলা কাটার হুমকী দিয়েছিলেন। যুবরাজ বলেন যে,
“সত্যি কথা বলতে গেলে আমার মাথায় কখনো ৬টি ছক্কা মারার কথা আসেইনি। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটপের সঙ্গে আমার যে তর্ক হয়েছিল, তাতে ভীষণই রাগ হয় আমার। আমি ফ্লিনটপের ওভারে পরপর দুটি চার মেরেছিলাম। যা ওর সহ্য হয়নি। ওভার শেষ হওয়ার পর আমি ধোনির সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলাম। তখন ও আমাকে বলে যে এটা বেকার শট ছিল। আমাদের দুজনের মধ্যে তারপর তর্ক শুরু হয়ে যায়। আমরা একে অপরকে উল্টোপাল্টা বলি। তারপর ফ্লিনটপ আমাকে বলেন যে বাইরে আয় তোর গলা কেটে দেব”।
যুবরাজও দিয়েছিলেন কড়া জবাব
যুবরজ সিং আগে বলেন,
“আমিও রাগের মাথায় জবাব দিয়ে দিই যে এই ব্যাট দেখছিস, বাইরের কথা তো পরে, জানিস তো ব্যাট কোথায় যাবে। তারপর অ্যাম্পায়ার এসে আমাদের মধ্যস্ততা করেন। আমি তাদের জানাই যে ঝামেলার শুরু ফ্লিনটপ করেছিল।
আমার মনে হয়েছিল দিনটা আমার
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটপের সঙ্গে তর্কের পর যুবরাজ সিং যথেষ্ট উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফ্লিনটপের কর্মের ফল ভুগতে হয় জোরে বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডকে। পরের ওভারে যখন তিনি বল করতে আসেন তো যুবি লাগাতা তার ৬টি বলে ৬টি ছক্কা মারেন। এবং ইতিহাসে নিজের নাম সিক্সার কিং হিসেবে নথিভুক্ত করেন। যুবি আগে বলেন,
“এরপর আমি যথেষ্ট উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মাথা তখন বলকে মাঠে বাইরে মারার ভাবনা আসতে শুরু করে। ভাগ্যবান ছিলাম যে ব্রডের প্রথম বলেই ছক্কা মারতে সফল হয়েছিলাম। আজও যখন প্রথম বলে মারা ছক্কাটি দেখি তো তো বিশ্বাস করতে পারি না যে এত লম্বা ছক্কা কীভাবে মারলাম। আমার মনে হয় কখনো কখনো যে কীভাবে মারলাম। তারপর আরো দুটি ছক্কা হয়। চতুর্থ ছক্কা পয়েন্টে যায়। আমি পয়েন্টে চার মারিনি, সেটা ছক্কা হিসেবে চলে যায়, আমার মনে হয় যে আজ আমার দিন”।