যুবরাজ সিং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পাওয়া সম্ভবনা দেখা গিয়েছিল যখন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে দলে না থাকার পর প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ বলেছিলেন তাকে বাদ দেওয়া হয় নি বরং বিশ্রাম দেওয়া হয়ে হয়েছে। তিনি বলেছিলে, ” যুবরাজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কারো জন্য ই দরজা কখনো বন্ধ হয়ে যায় না। প্রত্যকেরই ক্রিকেট খেলার অধিকার রয়েছে। এটা তাদের আবেগ যেটা তারা লালন করে। দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের সেরাটা বেছে নিতে হয়।” কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এমএসকে প্রসাদে বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিক এবং তখন পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বলেছিলেন, কারন যুবরাজ সিং সদ্য ঘোষিত অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য দলে সুযোগ পান নি। এ থেকে বুঝা যায় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হয়ত শেষের পথে যদিও বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার প্রত্যাবর্তন রাজকীয় ছিল। এখন মনে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ই তাকে পরিকল্পনা করে বাদ দিয়েছে, কেবল প্রধান নির্বাচক পরিস্থিতি শান্ত রেখেছেন। এই বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয় যখন তাকে দূলীপ ট্রফির জন্য ঘোষিত তিন দলেট কোন দলেও রাখা হয় না, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচেও রাখা হয় নি। এটা প্রমান করে যুবরাজ ভারতের শীর্ষ ৭৪ খেলোয়ারের মধ্যেও নেই।
এবারের এই অপ্রত্যাশিত বাদ পড়ার কারনে যুবরাজ সিং নিজের ভাগ্যকে দায়ী করতে পারেন। এমনকি তিন বছর দলের বাহিরে থাকার পর যখন এবছরের শুরুতে দলে ফিরেছিলেন তখনো তিনি পরিকল্পনায় ছিলেন না। ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস দিয়ে তিনি তার সমর্থকদের হতাশ করেন নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতে দ্রুত গতির অর্ধ শত রানের ইনিংস জানান দিচ্ছিল তার ভাল সময়ের, কিন্তু এরপর পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে যেমন তার ব্যাট হাসে নি তেমনি ওয়েস্ট উইন্ডিজ সফরেও তার ব্যাটে রান খরা কাটে নি। মনিশ পান্ডে, লোকেশ রাহুল ও অজিঙ্কা রাহানের পালা ক্রমে দলে সুযোগ দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট যুবরাজের ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
যুবরাজ সিং ছাড়া সাবেক যে তারকা ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হুমকির মুখে তিনি সুরেশ রায়না। এই তারকা ব্যাটসম্যান অক্টোবর ২০১৫ এর পরে আর ওয়ানডে খেলতে পারেন নি। যদিও আইপিএলে অসাধারন খেলে সুযোগ পেয়েছিলেন টিটুয়েন্টি সিরিজে। ছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্ট্যান্ড বাই হিসেবেও। কিন্তু এতে স্পষ্ট হয় যে তিনিও নির্বাচকদের পছন্দের প্রথম সারিতে নেই। এ ছাড়াও তার ফিটনেস সমস্যা তার জন্য আরো বড় সমস্যার কারন। টিম ম্যানেজমেন্ট এখন যে নতুন খেলোয়ারদের দিয়ে চেষ্টা করছেন তারা যদি নিজেদের জায়গা স্থায়ী করতে পারে তবে সুরেশ রায়না ভবিষ্যৎ আরো অনিশ্চিত।