ফ্যাশানের দৌড়ে সাধারণ মানুষ হোক বা সেলিব্রিটি প্রত্যেকেই শামিল হন। এখন ফ্যাশন জামাকাপড়, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি পর্যন্ত আর সীমিত নেই বরং এখন এখন একটা জিনিস যা আপনাকে ফ্যাশানেবল আর ট্রেন্ডি করে তোলে তা হল ট্যাটু। এখন যখন ট্যাটুকে এত মাহাত্ম্যই দেওয়া হচ্ছে তো আমাদের ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা কেন পেছনে পেছনে থাকবেন। এই বিষয়ে তাজা ঘটনা হল হার্দিক পাণ্ডিয়ার ট্যাটুর ছবিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার ক্রএ মানুষকে ভুল মেসেজ দেওয়া হয়েছে।
বিরাট কোহলি শুরু করেছেন ভারতীয় দলে ট্যাটুর প্রচলন
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির শরীরে বেশ কয়েকটি ট্যাটু রয়েছে। অন্যদিকে কেএল রাহুলও ট্যাটু থেকে অচ্ছুত নন। এটা বলা ভুল হবে না যে মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপ যাদব আর যজুবেন্দ্র চহেলকে বাদ দেওয়া হলে বাকি সমস্ত ভারতীয় খেলোয়াড়দের শরীরে ট্যাটু দেখতে পাওয়া যায়।
হার্দিক পাণ্ডিয়ার স্ট্যাইল দলের সবার থেকে আলাদা। যদিও তিনি ওয়েস্টইন্ডিজ সফরে দলের অংশ নন এই কারণে তিনি নিজের ছুটির আনন্দ উপভোগ করছেন। তাজা বিষয় হল হার্দিক পাণ্ডিয়ার বাঁহাতে বানানো বাঘের ট্যাটু। তিনি ট্যাটু করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ছবি শেয়ার করেছেন। কিছু সময়ের মধ্যেই যথেষ্ট মানুষের এর উপর প্রতিক্রিয়াও দেখতে পাওয়া গেছে। পাণ্ডিয়া এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন যাকে ভাল ব্যাপার বলা যাবে না।
হার্দিক পাণ্ডিয়া সমর্থকদের দিচ্ছেন ভুল মেসেজ
এটা তো আপনারা সকলেই জানেন যে ভারতীয় ক্রিকেটার্সদের ফ্যান ফলোয়িং কত বেশি। এই কারণে হার্দিক পাণ্ডিয়ার এইভাবে নিজের ট্যাটুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শো অফ করা ঠিক নয়। কারণ এইভাবে তিনি সমর্থকদের ভুল মেসেজ দিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই যে মানুষরা তাকে পছন্দ করেন তারাও ট্যাটু করার কথা ভাববেন।
আপনারা তো সকলেই জানেন যে ভাল জিনিস কেউ ফলো করুক না করুক কিন্তু ভুল জিনিস দ্রুতই মানুষ শিখে নিয়ে ফলো করতে শুরু করেন। এই কারণে পাণ্ডিয়ার এইভাবে সোষ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করা একদমই ভুল কাজ।
ভীষণই ক্ষতিকারক ট্যাটু করা
আপনারা এ কথা জেনে অবাক হবেন যে ট্যাটু তৈরি করার কালিতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থাকে, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। টাইটেনিয়াম ডাইঅস্কাইডের মাত্রা বেশি থাকা এই কালি দিয়ে ট্যাটু করায় চুলকানি, ঘা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও বেশ কিছু চর্মরোগও এর ফলে হতে পারে। আরো একটি বিশেষ বিষয় হল ট্যাটু করার বেশি কিছু সময় পর অব্ধি রক্তদান করা যায় না।