ইংল্যান্ড আর ওয়েলসে চলতি আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ আজ শেষ হয়েছে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ নিউজিল্যাণ্ড আর ঘরের দল ইংল্যান্ডের মধ্যে লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে খেলা হয়েছে। ফাইনাল ম্যাচ জেতার জন্য ইংল্যাণ্ডের সামনে ২৪২ রানের লক্ষ্য ছিল। ম্যাচ কখনো নিউজিল্যাণ্ড তো কখনো ইংল্যান্ডের দিকে ঝুঁকতে দেখা যায়। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পুরো বিশ্বের নিঃশ্বাস আটকে গিয়েছিল। শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের ১৫ রানের দরকার ছিল কিন্তু ম্যাচ টাই হয়ে যায় আর সুপার ওভারে যায়। সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ১৫ রান করে। নিউজিল্যাণ্ডের সামনে ১৬ রানের লক্ষ্য ছিল, কিন্তু তারা মাত্র ১৫ রানই করতে পারে আর ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে যায়। ইংল্যান্ড এই ম্যাচে ২৪টি বাউন্ডারি মেরেছিল অন্যদিকে নিউজিল্যাণ্ড ১৬টি, আর এর আধারেই ইংল্যান্ড এই ম্যাচ আর একদিনের বিশ্বকাপ জিতে অভূতপূর্ব ইতিহাস গড়ে।
হারের পর সামনে এল উইলিয়ামসনের বয়ান
নিউজিল্যান্ড যতই বিশ্বকাপ না জিতুক কিন্তু তারা একদম চ্যাম্পিয়নের মত প্রদর্শন করেছে। দলের হয়ে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের পাশাপাশি সমস্ত খেলোয়াড়রাই প্রশংসাযোগ্য প্রদর্শন দেখিয়েছেন। ম্যাচ হারার পর কেন উইলিয়ামসন নিজের বয়ানে বলেন,
“আমাদের হিসেবে দলের স্কোরে ১০ থেকে ২০ রান আরো হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের ফাইনাল হিসেবে এটা ভাল স্কোর ছিল। আমাদের বোলাররা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ভাল চাপ তৈরি করেছিল। বোলাররা ম্যাচকে শেষ বল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে আর শেষ বলে ম্যাচ এক অন্য স্তরে পৌঁছে গিয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে এটা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচ থেকেছে”।
ওভার থ্রো নিয়ে দিলেন নিজের রায়
ইংল্যান্ডের শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল আর ৪৯. ৪ ওভারে তারা ওভার থ্রোতে অতিরিক্ত চার রান পায়। এই বলে যথেষ্ট নাটক দেখতে পাওয়া যায়। মার্টিন গুপ্তিল যখন থ্রো করেন তো বল বেন স্টোকসের ব্যাটে লাগার পর বাউন্ডারিতে চলে যায়। আইসিসির নিয়ম অনুসারে এখানে ওভার থ্রোর রান পাওয়া উচিত ছিল না, কিন্তু ইংল্যাণ্ডের চার রানের ফায়দা হয়। যা নিয়ে কেন উইলিয়ামসন নিজের বয়ানে বলেন,
“এটা সত্যিই লজ্জার কথা যে বল বেন স্টোকসের ব্যাটে লাগার পর বাউন্ডারি লাইনে গিয়েছে। আমি আশা করছি যে আগে কখনো এমনটা না হোক। আমি ওই বিষয়ে এখন বলতে চাই না। ব্যাস শুধু এটাই বলব যে এমনটা যেনো আর কখনো দেখতে না হয়”।
সুপার ওভার থেকে কিউয়ি দল পেয়েছে হার
কিন্তু ওই ওভার থ্রোর কারণে ইংল্যান্ড যদি চার রান না পেত তো সম্ভবত নিউজিল্যাণ্ড এই বিশ্বকাপ জিতে যেত আর সুপার ওভারের ব্যাপারই আসত না, কিন্তু ভাগ্যের ইচ্ছে অন্য কিছুই ছিল। সুপার ওভার নিয়ে কেন উইলিয়ামসন বলেন,
“ডান আর বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা সুপার ওভারে ছোটো বাউণ্ডারির ভরপুর ফায়দা তুলেছেন। কিন্তু এত ছোটো লক্ষ্যতে ম্যাচের আলোচনা করা অনুচিত”।