World Cup 2023: ইংল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ ২০২৩ অভিযানের ছয় নম্বর ম্যাচে একানা স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে হতাশাজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। সেই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া ২৩৯ রান করে এবং ইংল্যান্ড এর ধারে কাছেও যেতে পারেনি। তারা সেই ম্যাচে ১০০ রানে হেরে যায়। ছয়টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। তাদের প্রতিটি হার আগের চেয়ে বড় এবং আরও মর্মান্তিক। এই হার ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে দিয়েছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে ৯টি লিগ ম্যাচে তারা ৩টি ম্যাচ হেরে যায়। তারপরও শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় স্থানে শেষ করে এবং ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতে নেয়। সেটাই তাদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়। যাই হোক, চার বছর আগে এই এমন পরাজয়ের কোনটিই এত বড় এবং লজ্জাজনক ছিল না যা তারা এই বছর ভোগ করেছে। এর মধ্যে একটি হার আফগানিস্তানের বিপক্ষেও রয়েছে যারা বর্তমানে আইসিসি পুরুষদের ওডিআই টিম র্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কী এমন ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে হল যার ফলে এই স্তরে নেমে গেল তারা? এবার দেখে নেওয়া যাক তিন কারণ।
এক দলে প্রচুর মাথা

বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে অনেকেই ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বড় দাবিদার হিসেবে দেখে। তবে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই একের পর এক ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে তারা। এই ইংল্যান্ড দলেই জস বাটলার, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস, লায়াম লিভিংস্টোন, ক্রিস ওকস, মঈন আলীর মতো খেলোয়াড় রয়েছে যারা একার জোরেই ম্যাচ জেতার ক্ষমতা রাখেন। তবে আদতে তেমনটা হয়নি। সবাই নিজেদের খেলা দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দলের জন্য কোনটা ভালো হবে সেটা একেবারেই দেখা হয়। ফলস্বরূপ যা হওয়ার তাই হয়েছে। চলতি বিশ্বকাপে মুখ থুবড়ে পড়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। সেমিতে উঠতে না পেরেই দেশে ফিরতে হবে তাদের।
আত্মতুষ্টির কারণেই হার ইংল্যান্ডের
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্টকে কি আদৌ গুরুত্ব দিয়েছিল ইংল্যান্ড? এটা নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠছেই। এই বিশ্বকাপে নামার আগে তাদের প্রস্তুতির কথা ধরলে সেই চিত্রই ধরা পড়বে। এই টুর্নামেন্টের আগে ইংল্যান্ড খেলেছে মাত্র ১২টি ম্যাচ। বাংলাদেশের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ইংল্যান্ডকে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা দিতে পারে মাত্র দুটি দল। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের আগে দলের এমন প্রস্তুতি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে এই টুর্নামেন্টকে বিশেষ গুরুত্বই দেয়নি তারা। আর এই আত্মতুষ্টির কারণেই এমন খারাপ ফল করলো ইংরেজরা।
জস বাটলারের খারাপ অধিনায়কত্ব
টুর্নামেন্টে জস বাটলারের অধিনায়কত্বের কারণে দলে অস্থিরতার পরিবেশ বিরাজ করছে। দলে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আনছেন বাটলার। বাটলার খেলোয়াড়দের সামর্থ্য ও প্রতিভার চেয়ে পরিসংখ্যানগত অভিজ্ঞতার ওপর আস্থা প্রকাশ করেন। এ কারণেই বেন স্টোকস ও মঈন আলীর মতো খেলোয়াড়রা প্লেয়িং ইলেভেনে সুযোগ পেলেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বাটলারের প্লেয়িং ইলেভেনের অনেক সিদ্ধান্তও দলের বিপক্ষে গেছে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ সব ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে ইংল্যান্ড দলকে।