ওয়েস্টইন্ডিজ আর ভারতের মধ্যে রবিবার ৪ আগস্ট তিন টি-২০ ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ফ্লোরিডার মাঠে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচের শুরুতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি টসে জেতে আর ওয়েস্টইন্ডিজকে প্রথমে বল করার আমন্ত্রণ জানান।
প্রথম বল থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রান বৃষ্টি
ম্যাচের শুরু টিম ইন্ডিয়ার সহঅধিনায়ক নিজের চিরপরিচিত মেজাজে প্রথম বলেই চার মেরে করেন। প্রথম উইকেটে হয়ে শিখর ধবন আর রোহিত শর্মা ৭.৫ ওভারে ৬৭ রান করে টিম ইন্ডিয়াকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন। দুর্দান্ত ছন্দে দেখানো গব্বর শিখর ধবন ১৬ বলে ২৩ রান করে আউট হন। শখর ধবনকে তার দিল্লি ক্যাপিটালসের সতীর্থ কিমো পল বোল্ড করেন। ধবনের আউট হওয়ার পরও রোহিত শর্মা থামেননি আর বড়ো শট খেলতে দেখেন। দেখতে দেখতে হিটম্যান রোহিত শর্মার টি-২০আইতে ১৭তম হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ হয়ে যায়। সকলের এমন ধারনা ছিল যে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি বৃষ্টি করা রোহিত শর্মা আজও একটা বড়ো সেঞ্চুরি করতে সফল হবেন। কিন্তু এমনটা হয়নি। রোহিত শর্মা ৫১ বলে ৬৭ রান করে আউট হন। মহেন্দ্র সিং ধোনির বিকল্প মনে করা ঋষভ পন্থ ৪ রান করে আউট হন এবং আরো একবার সকলকে নিরাশ করেন। অধিনায়ক কোহলিও সেট হয়ে যাওয়ার পর ২৮ রান করে আউট হন। দুই ম্যাচে শেল্ডন কাটরেল কোহলিকে নিজের শিকার বানান। মনীষ পান্ডে ৬ রান করে আউট হন। টিম ইন্ডিয়া নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৭/৫ স্কোর করে। দলের হয়ে ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ২০ আর রবীন্দ্র জাদেজা ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্টইন্ডিজের হয়ে শেল্ডন কাটরেল আর ওশেন থমাস ২টি করে উইকেট নেন।
ভারতের ব্যাটিং স্কোরকার্ড
ওয়েস্টইন্ডিজ পায় ১৬৮ রানের লক্ষ্য
ওয়েস্টইন্ডিজের সামনে টি-২০ সিরিজে প্রত্যাবর্তনের জন্য ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছিল। দলের শুরুটা আরো একবার যথেষ্ট নিরাশাজনক দেখতে পাওয়া যায়। ইনিংসের অষ্টম বলেই ভুবনেশ্বর কুমার নিজের বলেই এভিন লুইসের ক্যাচ ধরে ভারতীয় দলকে প্রথম সফলতা এনে দেন। এভিন লুইস কালকের মতই আজও শূন্য রানে আউট হন। বড়ো শট মারার চেষ্টা ওপেনিংয়ের জন্য পাঠানো সুনীল নারিন মাত্র চার রান করে ওয়াশিংট সুন্দরের বলে বোল্ড হয়ে যান।
প্রথম দুটি উইকেট দ্রুত পড়ার পর ওয়েস্টইন্ডিজের ছন্নছাড়া ইনিংসকে নিকোলস পুরণ আর রোওমান পাওয়ালে সামলান। দুজনে তৃতীয় উইকেটের হয়ে ভাল পার্টনারশিপ করেন। দেখতে দেখতে পাওয়েল ৩০ বলে নিজের কেরিয়ারের দ্বিতীয় আর ভারতের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম টি-২০ হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
ওয়েস্টইন্ডিজের দলকে সেই সময় ধীরে ধীরে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসতে দেখা যায়। দলের ৮৪ বলে ৪২ রানের দরকার ছিল। কিন্তু তখনই ১৩.২ ওভারের খেলায় ক্রুণাল পাণ্ডিয়া এই জুটিকে ভেঙে ভারতকে ম্যাচে ফেরান। নিকোলস পুরণ ১৯ রান করে আউট হন আর মনীষ পাণ্ডে বাউন্ডারি লাইনের ধারে তার দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন। পাওয়া আর পূরণ ৭৬ রান যোগ করেন। ক্রুণাল পান্ডিয়া এই ওভারে রোমান পাওয়ালকে ৫৪ রানে আউট করে ভারতকে দ্বিতীয় সফলতা এনে দেন। ১৫.৩ ওভারে বৃষ্টি আর খারাপ আলোর কারণে ম্যাচ বন্ধ করতে হয় সেই সময় ওয়েস্টইন্ডিজের স্কোর ৯৮/৪ ছিল। খারাপ আলোর কারণে টিম ইন্ডিয়া এই ম্যাচে ২২ রানে (ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে) জিতে নেয়।