ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে মনে করা হচ্ছিলো ২০১৫ এর সেমিফাইনালে বদলা এইবার নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা।কিন্তু না, ম্যাচ শেষে ছবিটা সেই একই রকম থেকে গেলো, আরও একবার বিশ্বকাপের মন্চে প্রোটিয়াসদের হারিয়ে দিলো কিউয়িরা।শুধুমাত্র হারিয়ে দিলো বলাটা ভুল হবে, বরং বলা উচিত দু – প্লেসিসদের কার্যত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিলো নিউজিল্যান্ড।গতকাল চার উইকেটে তারা হারিয়ে দিলো প্রোটিয়াসদের।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে এইদিন কিউয়িদের বিরুদ্ধে ২৪৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলো আমলারা।আপাত নিরিখে এখনকার দিনের ক্রিকেটে এই লক্ষ্যমাত্রা কে কিছু মনে করা না হলেও একসময়ে ১৩৭ রানে পাঁচ উইকেট খুইয়ে ঋতিমতো চাপে পড়ে গেছিলো নিউজিল্যান্ড।কিন্তু এইদিন তাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১৩৮ বলে ১০৩ অপরাজিত ) এবং কলিন ডি গ্রান্ডহোম ( ৪৭ বলে ৬০ ) পার্টনারশিপ নিউজিল্যান্ডকে এনে দেয় জয় ম্যাচের চার বল বাকী থাকতে।
ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের তখন করতে বাকী ১২ , হাতে বল সাত।ঠিক সেই সময় থার্ড ম্যানে মারা উইলিয়ামসনের একটি বাউন্ডারি শেষ ওভারে কিউয়িদের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রানের সংখ্যা কে দাড় করায় আট।এরপর শেষ ওভারে আন্ডিলে ফেলিকায়োকে মারা ছয় এর মধ্যে দিয়ে ম্যাচ শেষ করে অধিনায়ক উইলিয়ামসন।
এদিন এই জয়ের মধ্যে দিয়ে পাঁচ ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের শীর্ষে চলে গেল নিউজিল্যান্ড।অন্যদিকে ছয় ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ কার্যত কঠিন করে ফেললো সাউথ আফ্রিকা।
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই বৃষ্টি, ফলস্বরূপ খেলা এসে দাড়ায় ৪৯ ওভারে।শুরুতে বল করে সাউথ আফ্রিকা ব্যাটিং লাইন আপকে কার্যত কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলে কিউয়ি বোলাররা।হাসিম আমলার ৮৩ বলে ৫৫ এবং রাসি ভ্যান দার দাসেনের ৬৪ বলে ৬৭ , সাউথ আফ্রিকাকে ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিতে সাহায্য করে।এদিন শুরু থেকেই প্রোটিয়াস ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখে কিউয়ি বোলাররা।উইলিয়ামসনের দলের এদিন সবচেয়ে সফল বোলার লকি ফার্গুসন।দশ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি।
ডু – প্লেসিসদের পক্ষে এই লক্ষ্যমাত্রা বাধা সম্ভব হতো না যদিনা ভ্যান দার দাসেন এবং ডেভিড মিলার পন্চম উইকেটে ৭২ রান না যোগ করতো।এদিন হেরে কার্যত সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ কন্টকময় করে তুললো দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির।এবছর বিশ্বকাপের শুরু থেকেই কেমন যেনা ছন্দহীন তারা, একদিকে দলের একাধিক ক্রিকেটার যেমন চোট প্রাপ্ত, তেমনই বেশ কিছু ক্রিকেটারকে পাওয়া যাচ্ছে না স্বাভাবিক ছন্দে।সব মিলিয়ে ঋতিমতো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ” চোকার্স ” রা।