মহেন্দ্র সিং ধোনি – ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তাঁর নেতৃত্বে আইসিসির বড় সব গুলো টুর্নামেন্টই জিতেছে ভারত। অধিনায়কত্ব থেকে অবসর নিলেও এখনো সংক্ষিপ্ত ফরমেটের ক্রিকেটে খেলছেন ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার। খেলার মাঠে তাঁর ফিটনেস অনেক তরুণ ক্রিকেটারের চেয়েও ভালো। এই ফিটনেস নিয়ে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলাটা খুব একটা কঠিন কাজ না তাঁর জন্য।
তবে এটাও ঠিক যে, আগের চেয়ে তাঁর পাওয়ার হিটিং ক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে গেছে এবং আগের মত স্ট্রাইক রোটেটও করতে পারেন না খুব একটা। সাম্প্রতিক সময়ে স্পিনারদের বিপক্ষে তাঁর স্ট্রাইক রোটেট না করতে পারার সমস্যা পরিলক্ষিত হয়েছে।
ধোনি একজন কৌশলগত মাস্টারঃ
ধোনিকে দলে রাখার প্রয়োজনীয়তা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে কৌশলগত দিক থেকে তাঁর অসাধারণ ক্ষমতা। বর্তমান অধিনায়ক কোহলির সাথে তাঁর সম্পর্ক অনেক মধুর। যার ফলে বিভিন্ন বিষয়ে মাঠে ধোনির থেকে অনেক সহযোগিতা পান অধিনায়ক। ধোনি দলে না থাকলে কোহলির জন্য অধিনায়কত্ব অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
সেরা উইকেটরক্ষকঃ
মহেন্দ্র সিং ধোনির উইকেট কিপিংয়ের যোগ্যতা নিয়ে কখনই কারো কোনো সংশয় নেই। নিঃসন্দেহে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা উইকেটরক্ষক। উইকেতের পেছনে তাঁর সাফল্য ক্রিকেট বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষকদের কাতারে।
লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করা সহজ কাজ নয়ঃ
অপরদিকে, ধোনি সবসময়ই লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করেছেন। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করে তাঁর ব্যাটিং গড় ৫১.২৬। এ থেকেই বোঝা যায় ভারতের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ ফিনিশার তিনি। আগে ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষকে বড় টার্গেট দেয়া বা বড় টার্গেটের রান তাড়া করা, উভয় ক্ষেত্রেই দলে একজন ফিনিশার গুরুত্ব অপরিসীম।
ভালো করতে না পারলে নিজের থেকেই সরে যাবেন ধোনিঃ
দলের উচিত ধোনিকে নিজের মত করে খেলার স্বাধীনতা দেওয়া। কারণ ধোনি খুব ভালো করেই জানেন তাঁর নিজের দায়িত্ব। দলের কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে খেলতে হবে সেটা ধোনির চেয়ে ভালো কেউ জানে না। তবে এর মানে এই না যে, ধোনি খারাপ করলেও তাকে দল সুযোগ দিতে হবে। তাছাড়া ধোনি যদি ভালো করতে না পারেন তখন নিজে থেকেই সরে যাবেন।
অতএব, ধোনির উচিত অন্তত ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাওয়া। যদি সে নিয়মিত ভালো করতে পারে তাহলে হয়তো ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যও বিবেচিত হবেন তিনি।