একটা টুপির জায়গায় দুই-তিনখানা টুপি মাথায়! এ কেমন অবস্থা ক্রিকেটারদের 1

করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটের একাধিক নিয়ম বদল হয়েছে এবং একাধিক ধারাও পরিবর্তন হয়েছে। করোনার সংক্রমণ এড়াতেই মূলত এই ধরণের নিয়ম উঠে এসেছে। দর্শক শূন্য স্টেডিয়াম, বলে লালারস না লাগানোর নিয়ম, করমর্দন বা কোলাকুলির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা এসব তো রয়েইছে। কিন্তু এবারের আইপিএল এ টুপি নিয়ে বেশ রহস্যের একটি বিষয় দেখা গিয়েছে।

Corona spoiled game of cricket now not a single ball will be thrown  anywhere- कोरोना ने बिगाड़ा क्रिकेट का खेल, अब कहीं भी नहीं फेंकी जाएगी एक  भी गेंद - TV9 Bharatvarsh

গত বুধবার আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত হওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচে একটি দৃশ্য দেখে দর্শক ও ক্রিকেট প্রেমীরা কিছুটা হতবাক হয়ে গিয়েছিল। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করার সময়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের মাথায় একটির জায়গায় দুটি টুপি রয়েছে। আর এই নিয়ে প্রশ্ন এসেছে সকলের মনে। অন্যান্য সময়ে আম্পায়ারদের কাছে নিজেদের টুপি ও সানগ্লাস দিয়ে আসেন বোলার বা ফিল্ডাররা, কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের জিনিস বহন করছেন খোদ ক্রিকেটাররাই!

Morgan was seen wearing two caps against RCB. Photo: Screen grab

তবে শুধু আইপিএল নয়, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও এরকম উদাহরণ রয়েছে অজস্র। সেই টুর্নামেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি সেইন্ট লুসিয়া জুকস এর ক্রিকেটার রাখিম কর্নওয়াল দুটি টুপি পড়েছিলেন। এমনকি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার সময় রাখিম কর্নওয়ালের মাথায় দেখা গিয়েছিল পাঁচটি টুপি। আর এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হুজুগ তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

যদিও এই বিষয়টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের নতুন কোভিড প্রোটোকলের নিয়মেরই অন্তর্গত। এই প্রোটোকলটি তৈরি হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পুনরারম্ভের সময়, অর্থাৎ ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজের সময়ই। সেই নিয়মে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের মধ্যে সর্বদাই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা হবে এবং কোনওরকম বস্তু হস্তান্তর করা চলবে না। আইসিসির সেই নিয়মে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, “খেলোয়াড় এবং আম্পায়াররা ক্রিকেট মাঠে নিজেদের মধ্যে সর্বক্ষণ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখবেন এবং এর মধ্যে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে খেলোয়াড়দের জিনিসপত্র আম্পায়ারদের কাছে দেওয়া, যার মধ্যে রয়েছে টুপি, তোয়ালে, সানগ্লাস, সোয়েটারের মত জিনিস। এর পরিবর্তে অন্য কোনও উপায় খুঁজে নিতে পারেন ক্রিকেটাররা যাতে বোলারের সুবিধা হয় নিজের জিনিস রাখা নিয়ে। পাশাপাশি বোলারদের হাতে বল দেওয়ার সময় আম্পায়ারদের অনুরোধ করা হবে যাতে তারা গ্লাভস পড়ে নেন।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *