ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র সেহবাগ একজন ভীষণই মজার খেলোয়াড়। বীরেন্দ্র সেহবাগ নিজের পুরো ক্রিকেট কেরিয়ার চলাকালীন ভীষণই মজার ঢঙে কাটিয়েছেন। তবে ক্রিকেট ইতিহাসে এমন বেশকিছু খেলোয়াড় ছিলেন, যারা শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে ভীষন সিরিয়াসভাবে পৌঁছেছেন। কিন্তু বীরেন্দ্র সেহবাগের বিষয়টি একদম উলটো। তিনি ভীষণই মস্তিতে এই সফর কাটিয়েছেন।
বীরেন্দ্র সেহবাগ থেকেছেন সবসময়ই হাসিখুশি মজার খেলোয়াড়
ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে গুনতি হওয়া বীরেন্দ্র সেহবাগের কেরিয়ারে দেখা গিয়েছে যে তিনি ভারতের বড়ো বড়ো আর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কখনোই বেশি সিরিয়াসভাবে থাকেননি। সবসময়ই মজার স্বভাবে থাকা বীরেন্দ্র সেহবাগের ব্যবহার এমন থেকেছে যে তার আশেপাশের পরিবেশও হাসিখুশি থেকেছে, সেই সঙ্গে মাঠ হোক বা মাঠের বাইরে তিনি সবসময়ই ভীষণই মজায় থেকেছেন।
বীরুর মাঠে সত্যিকারের সঙ্গী কে? যুবি, ভাজ্জি, জ্যাক নাকী গম্ভীর
ভারতীয় দলের কথা বলা হলে মজার বিষয়ে বীরু দলে সৌরভ গাঙ্গুলী, শচীন তেন্ডুলকর বা রাহুল দ্রাবিড়ের মতো থাকার পরেও মজা করর ব্যাপারে কখনো পেছিয়ে থাকেননি। তো অন্যদিকে তার সমকালীন জাহির খান, যুবরাজ সিং, গৌতম গম্ভীর আর হরভজন সিংয়ের সঙ্গে মস্তির ব্যাপারে কখনো হার মানতেন না। কিন্তু যখন কথা হয় যে মাঠের ভেতরে বীরেন্দ্র সেহবাগের সত্যিকারের সঙ্গী কে? এই প্রশ্ন উঠতেই আমাদের মনে জাহির, যুবি ভাজ্জি বা গম্ভীরের নামই আসবে, কারণ মাঠে বীরুকে এদের সঙ্গে বেশি মস্তি করতে দেখা যেত।
বীরুর জন্য অ্যাম্পায়ার্স থেকেছেন মাঠের সত্যিকারের সঙ্গী
কিন্তু আপনারা এটা জেনে অবাক হবেন যে মাঠের ভেতর বীরেন্দ্র সেহবাগের মজা করার আসল সঙ্গী এই খেলোয়াড়রা নয় অন্য কেউ ছিলেন। হ্যাঁ, বীরুর মাঠে মজা করার সত্যিকারের সঙ্গী অ্যাম্পায়াররা হতেন। এই খোলসা স্বয়ং তিনি ক্রিকবাজের সঙ্গে কথাবার্তা চলাকালীন করেছেন। ক্রিকবাজের অনুষ্ঠানে যখন বীরেন্দ্র সেহবাগ আর মহম্মদ কাইফ দুজনেই ছিলেন তখন অ্যাম্পায়ারদের নিয়ে সেহবাগ পরিস্কারভাবে বলেন,যে তিনি প্রত্যেক দেশের অ্যাম্পায়ার্সদের সঙ্গে কথা বলতেন। বীরুর সঙ্গে অ্যাম্পায়ারদের বন্ধুত্ব নিয়ে কথা বলার সময় কাইফও চুপ থাকতে পারেননি আর বলেন,
“আমি যতটা বীরুর সঙ্গে খেলেছি যে দেশেরই অ্যাম্পায়ার হোক না কেনো তারা বীরুর বন্ধুই থেকেছে। ও যখন ফিল্ডিং করে তখনও অ্যাম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলত, যখন ব্যাটিং করত তখন অ্যাম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলত – ভাই কাল কী খেয়েছো, কোথায় গিয়েছিল। অ্যাম্পায়ারদেরও মনে হতো যে হ্যাঁ, চলো এত সিরিয়াস পরিবেশেও এখানে কেউ এন্টারটেইন করছে। তখন তারাও কথা বলে রিল্যাক্স থাকত”।
কাইফ সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করে বলেন যে,
“এখন আমরা যে রোড সেফটি লিজেন্ডস টুর্নামেন্ট খেলছি সেখানেও সাইমন টাফেল আর অন্য অ্যাম্পায়ারদের সঙ্গে ও কথা বলে যেত। স্কোয়ার লেগ থেকেও অ্যাম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলে যায়”।
সেহবাগ বলেন, অ্যাম্পায়াররা হন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
এরপর বীরেন্দ্র সেহবাগ কথা থামিয়ে বলেন যে,
“আমাদের জন্য ওই ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কে? না তো অন্য দল, না তো নিজের দল, অ্যাম্পায়াররাই আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আউট ওকে দিতে হবে। যদি তুমি আউট হয়ে যাও তো নো বল ওকে দিতে হবে। এক্সট্রা ফিল্ডারও ও দেবে, কখনো কখনো রানার দরকার হলে তাও ওই দেয়। (হেসে) বন্ধুত্বে সব চলে”।