মঙ্গলবার ২৮ মে কার্ডিফের মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিংয়ের এই দুর্দান্ত দৃশ্য দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এমস ধোনি মাত্র ৭৮ বলের মধ্যে ১১৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। ধোনি দ্বারা খেলা প্রত্যেক শটের পর ক্রীড়াপ্রেমীদের মুখ থেকে একটাই শব্দ বেরচ্ছিল… ‘মাহি মার রাহা হ্যায়’।
ক্যাপ্টেন কুল নামে জনপ্রিত মহেন্দ্র সিং ধোনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অষ্টম প্র্যাকটিস ম্যাচে মাত্র ৭৮ বলে ১১৩ রান করেন। নিজের এই সেঞ্চুরি ইনিংস এমএস ধোনি আটটি চার আর সাতটি ছক্কাও মারেন। পুরো ইনিংস চলাকালীন ধোনি স্ট্রাইকরেট ১৪৪.৮৭ এর থেকেছে। টিম ইন্ডিয়া এই প্র্যাকটিস ম্যাচ ৯৫ রানের বড়ো ব্যবধানে জিতে নিজের নামে করে।
এখন দেশের বিশ্বকাপ জেতা পাকা
মহেন্দ্র সিং ধোনি না শুধু সেঞ্চুরি করেন বরং দেশের বিশ্বকাপ জেতার আশা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। এমনটা আমরা এই কারণে বলছি কারণ ধোনির বিশ্বকাপের প্র্যাকটিস ম্যাচে সেঞ্চুরিকরা ভারতীয় দলের জন্য ফায়দামন্দ হয়। আসলে ২০১১ বিশ্বকাপ চলাকালীনও প্র্যাকটিস ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি সেঞ্চুরি ইনিংস খেলেছিলেন আর শেষে টিম ইন্ডিয়া টুর্নামেন্ট জিততে সফল হয় আর গতকালও বিশ্বকাপের প্র্যাকটিস ম্যাচে এমএস ধোনির ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি ইনিংস বেরিয়েছে, তার মানে এবারও দেশ টুর্নামেন্ট জিতে ইতিহাস গড়তে পারে।
তখন নিউজিল্যান্ডকে মেরেছিলেন এখন বাংলাদেশকে
২০১১র বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া নিজেদের প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিল আর দ্বিতীয়টি নিউজিলাণ্ডের বিরুদ্ধে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্র্যাকটিস ম্যাচ চেন্নাইতে খেলাহয়েছিল আর এই ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে এমএস ধোনি মাত্র ৬৪ বলের মুখোমুখি হয়ে ১০৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন। তার এই ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ধোনি ১১টি চার এবং তিনটি ছক্কা মেরেছলেন। কিউয়ি দলের বিরুদ্ধে মারা এই সেঞ্চুরি টিম ইন্ডিয়ার জন্য লাকি প্রমানিত হয় আর শেষে দল ২৮ বছরের খরা শেষ করে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়ে।
গতকালও টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপে এটি দ্বিতীয় প্র্যাকটিস ম্যাচই ছিলার ধোনি এই ম্যাচেও বিস্ফোরক সেঞ্চুরি ইনিংস খেলেন। মানে এমনটা বলা যেতে আপ্রেযে এবার এমএস ধোনির সেঞ্চুরি দলের জন্য লাকি প্রমানিত হতে পারে আর বিরাট কোহলির নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া তৃতীয়বার একদিনের বিশ্বকাপ জিতে নতুন ইতিহাস গড়তে পারে।