মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল বেশ কিছু উচ্চতাকে ছুঁয়েছে। তিনি দলের সবচেয়ে বড় ফিনিশার ব্যাটসম্যান প্রমানিত হয়েছে।কিন্তু কিছু এমন ম্যাচও ছিল যখন ধোনি দলকে জেতানোর জন্য নয় বরং নিজের জন্য ব্যাটিং করেছেন। আজ আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদনে ধোনির তেমনই পাঁচটি ইনিংসের কথা আলোচনা করা হবে। একবার দেখে নেওয়া যাক।
৫—পাকিস্থানের বিরুদ্ধে ২০১৩
২০১৩য় পাকিস্থান দল ভারত সফরে এসেছিল ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ কলকাতায় খেলা হয়েছিল। টসে জিতে ভারত ওই ম্যাচে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। পকিস্থান প্রথমে ব্যাট করে ৪৮.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যায়। যার জবাবে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় দলের ব্যাটিংও ধসে যায়। সম্পুর্ণ ভারতীয় দল ৪৮ ওভারে ১৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। অন্যদিকে এই ম্যাচে ধোনি ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ধোনি এই ইনিংসে ৮৯টি বল খেলেছিলেন। এই ইনিংসে ধোনি মাত্র চারটি চার এবং একটি ছয় মেরেছিলেন।
৪—অস্ট্রেলিয়ার ব্রুদ্ধে বিশ্বকাপ-২০১৫ সেমিফাইনাল
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫র সেমিফাইনাল ম্যাচ ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে খেলা হয়েছিল। টস জিতে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় দল ৪৬.৫ ওভারে ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। ধোনি ৬৫ রান করে আউট হন। ধোনির এই ইনিংসে ৬৫টি বল খেলেন। কিন্তু দলের যখন ১০ রান রেটে রান করার প্রয়োজন ছিল তখন ধোনি সিঙ্গল রান নিয়ে খেলতে থাকেন।
৩—ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৮
বর্তমান সময়ে ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজ খেলা ভারতীয় দল তার আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৮৬ রানে হারের মুখে পড়তে হয়। ইংল্যান্ড এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৭ রান করে। লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ভারতীয় দল ২৩৬ রানই করতে পারে। এই ম্যাচে ধোনি ৫৯ বলে ৩৭ রানের ভীষণই ধীর গতির ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে তিনি মাত্র ২টি চার মারেন।
২—ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৮
ওয়ান ডে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে ভারত ৮ উইকেটে হেরে যায়। টস হেরে প্রথমে ব্যাত করত নামা ভারতীয় দল ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রানই করতে পারে। ধোনির ব্যাট থেকে আরও একবার ৬৬ বলে ৪৪ রানের ধীর গতির ইনিংস বেরোয়। অন্যদিকে ভারতের লক্ষ্যমাত্রা ইংল্যান্ড মাত্র ২টি উইকেট হারিয়ে ৪৪.৩ ওভারেই হাসিল করে নেয়।
১—ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৪
২০১৪য় ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার ভারতীয় দলকে একটি টি২০ ম্যাচে মাত্র ৩ রানে হারের সম্মুখীন হতে হয়। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাত করতে ১৮০ রান করেছিল। জবাবে ভারত ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান তুলে দিয়েছিল। শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রানের। একদিকে যেখানে মহেন্দ্র সিং ধোনি ১৪ রান করে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন অন্যদিকে ৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন আম্বাতি রায়ডু।
শেষ ওভারে বল করছিলেন ক্রিস ওকস। প্রথম বলেই ধোনি মিড উইকেটের উপর দিয়ে দুর্দান্ত ছক্কা মারেন। দ্বিতীয় বলে ধোনি দু’রান নেন। তৃতীয় বলে একটি সিঙ্গল রান হতে পারত, কিন্তু ধোনি রায়ডুকে স্ট্রাইক দেওয়া উচিত মনে করেন নি আর রান নিতে অস্বীকার করেন। চতুর্থ বলে ধোনি চার মারেন। পরের বলেই ফের সিঙ্গল রান হওয়ার ছিল,কিন্তু ধোনি মানা করে দেন। শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল চার রান, কিন্তু ধোনি চার মারতে পারেন নি আর ভারতকে এই ম্যাচে তিন রানে হারের মুখে পড়তে হয়। যদি তিনি রায়ডুর উপর ভরসা দেখাতেন আর সিঙ্গল রান নিতে তাহলে এই ম্যাচের পরিণাম অন্য হতে পারত।