২-২ স্কোর লাইনের মধ্যে দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটেছে এবারের এ্যসেজ সিরিজের।ইংল্যান্ডের বোলাররা শেষ ম্যাচে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগে মাত্র ২৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেয় স্টিভ স্মিথকে। শেষ ম্যাচে ” ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ” হয়েছিলেন জোফ্রা আর্চার।ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও উইকেট পাননি এই পেসার।ম্যাচের পর তার প্রশংসা করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুট। এ্যসেজের দ্বিতীয় টেস্টে জিমি এ্যন্ডারসন চোট পেলে টেস্ট অভিষেক হয় আর্চারের।সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই দারুন পারফরম্যান্স দেন আর্চার।এদিন রুট জানান এই পেসারের উপর বেশি প্রত্যাশা রাখা একেবারে উচিত না।কারন এখনো ও শিখছে।
” আমি যখন নেটে ওর মুখোমুখি হই, তখনই বুঝেছি কিছু একটা আছে ওর মধ্যে যা ওকে সবার থেকে আলাদা।তবে আমাদের একটি বিষয়ে মাথা রাখা উচিত যে এখনই ওর প্রতি একটা পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশা না তৈরী করা।ও তরুণ, এখনও আয়ত্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।এমনকি আমিও এখন ওর থেকে সেরাটা বের করে নিয়ে আসার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি ” ।মন্তব্য রুটের। অভিষেক টেস্টেই আর্চার আহত করেছিলেন স্টিভ স্মিথকে, তার বোলিংয়ে।যার জেরে তার আর খেলা হয়ে ওঠেনি পরবর্তী টেস্ট ম্যাচ।রুটের মন্তব্য , আর্চারের বোলিং ম্যাচে গুরুতর প্রভাব ফেলেছে , পাশাপাশি দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের তিনি বলতে চেয়েছেন প্রতিবার যে এই উদীয়মান তারকা ঘন্টায় নব্বই মাইল বেগে বোলিং করবে এমনটা আশা না করাই ভালো।
” এমন ভাবে কেরিয়ারের শুরু হওয়া নিঃসন্দেহে দারুণ এক ব্যাপার, এবং আমার খুব ভালো লাগছে এমন একজন ক্রিকেটারের অধিনায়ক হতে পেরে।ওর বাকী ক্রিকেট কেরিয়ারের দিকে লক্ষ্য থাকবে আমার।তবে একটা বিষয়ে আমরা সবাই নিশ্চিত যে আগামী দিন গুলোতে ও সকলকে আরও মনোরঞ্জন দেবে।” মন্তব্য রুটের।
এবারের এ্যসেজের ফলাফলের তৃপ্ত হয়েছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক।তবে দলের পারফরম্যান্সে খানিকটা হলেও হতাশ তিনি।এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ” ৩-১ , হওয়ার থেকে এমন ফলাফল যথেষ্ট ভালো।গোটা সিরিজ বিচার করলে এইটাই সঠিক সমাপ্তি। অনেকেই হয়তো এবিষয়ের সাথে সহমত না হতে পারে, কিন্তু লর্ডস টেস্টের দিকে নজর দিলে।বিষয়টি সত্যি অন্যরকম দেখাবে।তবে জিমি এ্যন্ডারসন খেললে বিষয়টি একটু হলেও অন্যরকম দেখাতো।তবে সিরিজ সমান সমান করা একটা দারুণ বিষয়ে,গোটা সিরিজ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি, যা পাথেয় করে পরবর্তী সময়ে আরও এগিয়ে যাবো।