ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে দলীপ ট্রফি (Duleep Trophy) টুর্নামেন্ট জিতেছে পশ্চিমাঞ্চল। ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলকে ২৯৪ রানে হারিয়েছে তারা। পশ্চিমাঞ্চল প্রথম ইনিংসে ২৭০ রান করেছিল। এর পর প্রথম ইনিংসে ৩২৭ রান করে দক্ষিণ। দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেটে ৫৮৫ রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট। ম্যাচ জিততে সাউথ ৫২৯ রানের টার্গেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৩৪ রান করতে পারে। পশ্চিম অঞ্চল দল ১৯তম বারের মতো দলীপ ট্রফি জেতে সফল হয়েছিল।
প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ প্রত্যাবর্তন করে পশ্চিমাঞ্চল। চতুর্থ দিনে, যশস্বী জয়সওয়াল (২৬৫), সরফরাজ খান (১২৭) এবং হেট প্যাটেলের (অপরাজিত ৫১) দুর্দান্ত ইনিংসের সাহায্যে পশ্চিমাঞ্চল চার উইকেট হারিয়ে ৫৮৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে দক্ষিণাঞ্চল ১৫৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে। পঞ্চম দিনে দলটি তার স্কোরে যোগ করতে পারে মাত্র ৮০ রান।
চতুর্থ দিনে, স্টাম্পের সময় আর সাই কিশোর এবং রবি তেজা ৮ রান করে ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন। পঞ্চম দিনে সাই কিশোরের রূপে প্রথম সাফল্য পায় পশ্চিম। চিন্তন গাজা কিশোরকে প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন। সাত রান করেন সাই কিশোর। তার পর আউট হলেন রবি তেজাও। শামস মুলানি তাকে এলবিডব্লিউ করেন। রবি তেজা ৯৭ বলে ৫৩ রান করেন। শেষ দিনে তারা লড়াই করলেও তা দলের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
রবি তেজার পর বাসিল থামপিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান মুলানি। খাতা না খুলেই সরফরাজ খানের হাতে ক্যাচ দেন থামপি। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। গৌতম ২৮ বলে ১৭ রান করেন। ইনিংসে তিনটি চার মারেন তিনি। জয়দেব উনাদকাটের হাতে তনুশ কোটিিয়ানের হাতে ক্যাচ দেন গৌতম। দক্ষিণের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৩ রান করেন ওপেনার রোহান কুন্নুম্মল। পশ্চিমের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন শামস মুলানি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন জয়দেব উনাদকাট ও অতিত শেঠ। এই সিরিজের সেরা নির্বাচিত হন জয়দেব উনাদকাট।