টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ১২৪ রানের ইনিংস আজীবন মনে রাখবে বাংলাদেশের মানুষেররা।তিনি কেনো যে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার তা ফের আরেকবার প্রমাণ করলেন শাকিব আল হাসান দেশকে এবারের বিশ্বকাপের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় এনে দিয়ে।
গেইলদের বিপক্ষে দুরন্ত এই জয়ের পর এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন শাকিব।বিশ্বকাপের আগে থেকেই খানিকটা উপরের দিকে ব্যাটিং করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন শাকিব।অপেক্ষায় ছিলেন একটা সুযোগের।আর একেবারে বিশ্বকাপের মন্চে এবং সুযোগ পাওয়ার পরবর্তী সময় থেকে তার প্রত্যেকটা ইনিংস তার দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিয়ে যাচ্ছে, যে কখনোই তিনি ভুল ছিলেন না।
এদিন লিটন দাসকে সঙ্গী করে ম্যাচ শেষ করেছিলেন , শাকিবের পাশাপাশি এ দিন দুরন্ত ছন্দ ছিলেন লিটন নিজেও।দলের হয়ে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারায় এদিন এক অদ্ভুত তৃপ্তি লক্ষ্য করা গেলো শাকিবের গলায়,গত মাস দেড়েক ধরে নিজের ব্যাটিংয়ের দিকে নজর ছিলো তার।প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন নিজের ব্যাটিংয়ের পিছনে, তাই শেষ অবধি খাটনির মূল্য পেয়ে দারুন তৃপ্ত শাকিব।
এর আগে বিশ্বকাপের আঙিনায় অলরাউন্ডার হিসেবে পর পর চার ম্যাচে ৫০ এর অধিক স্কোর করার রেকর্ড ছিলো মাত্র তিন জন ক্রিকেটারের , এইবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন শাকিব ও।শুধু তাই নয় বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে একদিবসীয় ক্রিকেটে পর পর সেন্চুরি করার রেকর্ড তালিকায় চার নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড তালিকায় ঢুকে পড়লেন শাকিব।তার আগে এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন শাহরিয়ার নাফিস,তামিম ইকবাল এবং মামদুল্লাহ।
এই মুহুর্তে দুরন্ত ফর্মে আছেন শাকিব।দ্রুততম অলরাউন্ডার হিসেবে ৬০০০ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ২৫০ টি উইকেট।এবং এমন একটি রেকর্ড করতে মাত্র ২০২ ম্যাচ লাগলো শাকিবের , এক্ষেত্রে তিনি রেকর্ড ও ভেঙেছেন শাহিদ আফ্রিদির, তার লেগেছিলো ২৯৪ ম্যাচ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এদিন হারানোর সুবাদে লিগ টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।আগামী ম্যাচে ২৪ শে জুন টেন্ট ব্রিজে শাকিবরা মুখোমুখি হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার।ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে হারিয়ে এই মুহূর্তে মানসিক ভাবে দারুন জায়গায় রয়েছেন শাকিব, স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়া বধের।