পৃথ্বী শ আর ময়ঙ্ক আগরওয়ালের ওপেনিং জুটি নিউজিল্যান্ড একাদশের বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বিশেষ কিছুই করতে পারেনি, কিন্তু দুই ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন। দুই ব্যাটসম্যানই দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম উইকেটে ৭২ রান যোগ করেছিলেন। ময়ঙ্ক আগরওয়াল দ্বিতীয় ইনিংসে যেখানে ৯৯ বলে ৮০ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছিলেন, অন্যদিকে পৃথ্বী শ মাত্র ৩১ বলে ৩৯ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন।
ওপেনিং ভারতীয় দলের কমজুরি
ওয়ানডে সিরিজ আর প্র্যাকটিস ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ফ্লপ হওয়া পৃথ্বী শ আর ময়ঙ্ক আগরওয়ালের জুটি নিয়ে ভিভিএস লক্ষ্মণ নিজের চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজের একটি বয়ানে বলেছেন,
“সবচেয়ে বেশি চাপ টিম ইন্ডিয়ার ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের উপর থাকবে। ময়ঙ্ক যেখানে একদিনে ওয়ানডে সিরিজে ভালো করতে পারেননি অন্যদিকে তিনি প্র্যাকটিস ম্যাচের প্রথম ইনিংসে খাতাও খুলতে পারেননি। এরপর পৃথ্বী শ আর শুভমান গিল দুজনেই অভিজ্ঞতাহীন। যদি আমাদের নিউজিল্যান্ডের উপর চাপ তৈরি করতে হয় তো আপনাকে প্রথম ইনিংসে বড়ো স্কোর বোর্ডে টাঙাতে হবে। ভারতীয় ব্যাটিং এই বিষয়ে বেশি নির্ভর করবে যে তারা নতুন বলে ঘরের দলের বোলারদের কিভাবে সামলাবেন। প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা যথেষ্ট চাপে থাকতে চলেছেন। টেস্ট সিরিজে ভারতের জয় এই বিষয়ে নির্ভর করবে যে দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ইন্য ব্যাটসম্যানরা নতুন বলে কিভাবে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মুখোমুখি হবেন”।
ময়ঙ্ক বলেছেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাব
প্র্যাকটিস ম্যাচ ড্র হওয়ার পর ভারতীয় ওপেনার ময়ঙ্ক আগরওয়াল একটি প্রেস কনফারেন্স করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, “নিউজিল্যান্ডে খেলা যথেষ্ট আলাদা, কিন্তু যা কিছুই হয়েছে আমি তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাইব। হ্যাঁ, আমি প্র্যাকটিস ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রান করেছিল আর আমি এই আত্মবিশ্বাসকে টেস্ট সিরিজে নিয়ে যেতে চাইব”।
ময়ঙ্ক আগে নিজের প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলেন যে, “বিক্রম স্যার আর আমি বসে কথা বলেছি যে আমাদের কোথায় উন্নতি করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা তার উপর কাজও করেছি। আমি যখন প্রথম ইনিংসে আউট হয়ে যাই তো আমি নেটে যাই। বেশকিছু বল খেলি। আমি এই বিষয়ে খুশি যে, যার উপর আমি কাজ করেছি তাতে আমি যথেষ্ট সফল থেকেছি”।