আইপিএল ২০২০র আয়োজনে নিয়মিত একের পর এক সমস্যা এসে খাড়া হচ্ছে। প্রথমে করোনা ভাইরাসের কারণে বিসিসিআই আইপিএলকে স্থগিত করে দিয়েছিল। তো এখন চাইজিন কোম্পানির স্পনসরশিপ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে ভারত-চিন বর্ডারে প্রায় ৪৫দিন পর্যন্ত পরিস্থিতি উত্তেজিত রয়েছে। ১৬ জুন গালওয়ান ভ্যালিতে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল আর চিনা সেনাদের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়া ২০জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে চাইনিজ জিনিসের বহিস্কার করা হচ্ছে। মানুষ চাইনিজ দ্রব্য ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞার দাবী জানাচ্ছে। এই অবস্থায় বিসিসিআইও ভিভো, যা আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর, তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ করা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে পারে। আসলে ভিভো ২০১৮য় ২১৯৯ কোটি টাকা দিয়ে এই চুক্তি হাসিল করেছিল। এর মানে হলো ভিভো প্রতিবছর এই চুক্তির জন্য বিসিসিআইকে ৪৪০ কোটি টাকা দেয়। কিন্তু এখন যদি এই চুক্তি বাতিল হয় তো বিসিসিআইকে অন্য স্পনসর খুঁজতে হবে। প্রশ্ন ওঠে যে ভারতের কোন কোম্পানি আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হতে পারে। তো আসুন এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সেই ৩ ভারতীয় কোম্পানির ব্যাপারে জানাই যারা এই স্পনসরশিপ পেতে পারে।
এয়ারটেল
গালওয়ান ভ্যালিতে চিনা সেনার দ্বারা ভারতীয় সৈনিকদের মারা যাওয়ার পর ভারতে চাইনিজ প্রোডাক্টের বহিস্কারের দাবী যথেষ্ট বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি দেখে বিসিসিআইও আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে। এই অবস্থায় যদি ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয় তো এয়ারটেল আইপিএলের টাইটেল স্পনসর করতে আগ্রহ দেখাতে পারে। এর সবচেয়ে বড়ো কারণ এটা সম্পূর্ণ ভারতীয় কোম্পানি আর করোনা ভাইরাসের কারণে হওয়া লকডাউনের এই কোম্পানির বিশেষ কিছুই লোকসান হয়নি। সেই সঙ্গে এয়ারটেল ভারতের সবচেয়ে বড়ো টেলিকম কোম্পানিগুলোর একটি। এখন যদি আইপিএলের টাইটেলকে স্পনসর করার কথা হয় তো এয়ারটেল বুলি লাগাতে পারে। জানিয়ে দিই যে ভিভো বর্তমানে বিসিসিআইকে বছরে ৪৪০ কোটি টাকা দিচ্ছে।
জিয়ো
এখন যদি ভিভোর সঙ্গে আইপিএল চুক্তি বিসিসিআই বাতিল করে তো আম্বানি গ্রুপের টেলিকম কোম্পানি জিয়োও বুলি লাগাতে পারে। আসলে ভারতীয় কোম্পানি জিয়ো আম্বানি গ্রুপের আর আম্বানিদের কাছে আগে থেকেই আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স রয়েছে। এই অবস্থায় যদি জিয়ো এই ইভেন্টে ইনভেস্ট করে তো বড়ো ব্যাপার হবে না। ভারতে সবচেয়ে বেশি ধনী গ্রুপের মধ্যে আম্বানির নাম শামিল রয়েছে আর যেমনটা সকলেই জানেন যে আইপিএলের টাইটেলকে স্পনসর করা কোম্পানিকে বছরে কম সে কম ৪৪০ কোটি টাকা দিতেই হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত বিসিসিআই এই বিষয়ে নিশ্চ্যতা দেয় নি যে তারা ভিভোর সঙ্গে নিজেদের চুক্তি শেষ করবে, কিন্তু সিটিআই বিসিসিআইকে নোটিশ পাঠিয়েছে যে তারা এই চুক্তিকে শেষ করে দিক। সেই সঙ্গে বিসিসিআই এই বিষয়ে আলোচনার করার জন্য আগামী সপ্তাহে একটি মিটিংও ডেকেছে।
ইন্ডিয়া সিমেন্টস
চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক এন শ্রীনিবাসন ইন্ডিয়ান সিমেন্টের মালিক। শ্রীনিবাসনের কাছেও আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি রয়েছে। এখন যদি বিসিসিআই ভিভোর সঙ্গে চুক্তি শেষ করে তো শ্রীনিবাসন এই টাইটেল স্পনসর করতে পারে। আসলে যদি ভিভোর হাত থেকে চুক্তি ছিনিয়ে নেওয়া হয় তো কোনো ভারতীয় কোম্পানিকেই তা দেওয়া হবে। এই অবস্থায় যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে যে বিসিসিআই ইন্ডিয়া সিমেন্টসের সঙ্গে চুক্তি করবে। আসলে ইন্ডিয়া সিমেন্ট এমনিতেই বড়ো কোম্পানি কিন্তু তারা ধীরে ধীরে ভারতীয় মাঠে নিজেদের সেই নাম হারাচ্ছে। এই অবস্থায় যদি তারা আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হওয়ার সুযোগ পায় তো তারা এই সুযোগের ফায়দা তুলে আরো একবার ভারতে নিজেদের পা জমানোর চেষ্টা করতে পারে।