বিশ্বকাপ চলাকালীন আর তারপর থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনির অবসর নিয়ে অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক পোষ্ট করা হয়েছে। বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড় আর বলিউড ব্যক্তিত্বরাও ধোনির অবসর নিয়ে নিজেদের রায় দিয়েছেন। এখন ভারতীয় দল ২০২০র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উপর ধ্যান কেন্দ্রিত করেছে। টেস্ট ম্যাচ থেকে ধোনি আগেই অবসর নিয়ে ফেলেছেন। এখন বীরেন্দ্র সেহবাগও একটি টিভি চ্যানেলে ধোনি আর সিলেক্টর্সদের নিয়ে বড়ো বয়ান দিয়েছেন।
বীরেন্দ্র সেহবাগ মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে বললেন এই কথা
ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র সেহবাগের মনে হয় যে মহেন্দ্র সিং ধোনির এই বিষয়ে সম্পুর্ণ অধিকার রয়েছে যে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কখন তিনি অবসর নেবেন। তিনি সেই সঙ্গে নির্বাচকদের কাছে আবেদন করে বলেছেন যে প্রাক্তন অধিনায়ককে নিজেদের রণনীতির ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হোক। যেহেতু বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছে আর ধোনির অবসরের খবর আবারো জোরালো হতে শুরু করেছে।
সেহবাগ এবিপি নিউজের একটি প্যানেল ডিসকাশনের সময় বলেন যে,
“এটা ধোনির উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত যে ও কখন অবসর নেবে। নির্বাচকদের কাছ এটাই যে তারা ধোনির সঙ্গে কথা বলুক আর ওকে জানিয়ে দিক যে তারা ধোনিকে এখন আর সুযোগ দিতে পারবেন না”।
এমন অনুমান করা হচ্ছে যে ধোনি, যিনি আগেই টেস্ট ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন, ভারতের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর নিজের শেষ একদিনের ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। সেহবাগের মনে হয় যে অবসর ধোনির ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু নির্বাচকদের ওয়েস্টইন্ডিজ সফরের দল ঘোষণা করার আগে ওর সঙ্গে কথা বলা উচিত।
সেহবাগ নিজের সময়কে স্মরণ করে সন্দীপ পাটিলকে করলেন নিশানা
ধোনির ব্যাপারে কথা বলার সময় সেহবাগের নিজের সময়ের কথা মনে এসেছে আর তিনি বলেছেন যে যদি তারও সময় নির্বাচকরাও তার সঙ্গে কথা বলতে আর নিজেদের রণনীতি শেয়ার করতে আর তাকে জিজ্ঞাসাও করত। ২০১৩য় যখন সেহবাগকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল তখন সন্দীপ পাটিল নির্বাদক প্রধান ছিলেন। সেহবাগের সঙ্গে করা কাজের জন্য তিনি একবার জাতীয় টেলিভিশনে সেহবাগের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন আর বলেছিলেন যে
“শচীন তেন্ডুলকরের কাছে তার ভবিষ্যতের ব্যাপারে কথা বলার দায়িত্ব আমাকে আর রাজিন্দর সিং হংসকে দেওয়া হয়েছিল। আর সেহবাগের সঙ্গে কথা বয়াল্র দায়িত্ব বিক্রম রাঠোরকে দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিক্রমকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তো ও বলেছিল যে ওর সেহবাগের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে কিন্তু যদি সেহবাগ এটা বলে থাকে তো আমি এর পুরো দায়িত্ব নিচ্ছি”।
সন্দীপ পাটিলের এই কথার বীরেন্দ্র সেহবাগ দিলেন জবাব
পাটিলের এই সাফাইয়ের পরও বীরু তার এই ক্ষমা চাওয়ার কড়া জবাব দিয়েছেন আর তিনি এটা বলেছেন যে দল নির্বাচনের পর কোনো খেলোয়াড়ের কাছে জিজ্ঞাসা করা বা বলাতে কোনো ফায়দা নেই। বীরু বলেন,
“বিক্রম আমার সঙ্গে কথা অবশ্যই বলেছিল কিন্তু তখন যখন আমি দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছি। দল থেকে সরানোর আগে যদি ও আমার সঙ্গে কথা বলতে তো তার মানে থাকত। খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়ার পর তার সঙ্গে কথা বলার কোনো মানে নেই। যদি প্রসাদ এই মুহুর্তে ধোনিকে বাদ দেয় আর তারপর ওর সঙ্গে কথা বলে তো ধোনি কি করবে, এটাই যে ও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে আর যদি ও ভালো প্রদর্শন করতে পারে তো আবারো ওকে দলে নির্বাচিত করা উচিত। বিষয় এটাই যে নির্বাচকদের খেলোয়াড়ের সঙ্গে তখনই কথা বলা উচিত যখন তাকে দল থেকে বাদ না দেওয়া হয়েছে”।