ভারতীয় দলের প্রাক্তণ ওপেনার বীরেন্দ্র সেহবাগ নিজের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য পুরো বিশ্বে পরিচিত হয়েছেন। ক্রিকেটের যে কোনও ফর্ম্যাটই হোক সেহবাগের ব্যাট থেকে রান বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের মাধ্যমেই বেরয়।অবসর নেওয়ার বেশ কয়েকবছর পরে এখন বীরেন্দ্র সেহবাগ নিজের এই ধামাকেদার ব্যাটিংয়ের রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন।
এই টোটকা দিয়েছে কাজে
বেশ কিছু লোক এমন হয় যারা কিছু জিনিসকে লাকি মনে করেন।এর মধ্যে জামাকাপড় আর জুতো সহ যা খুশি হতে পারে। এই তালিকায় বীরেন্দ্র সেহবাগও রয়েছেন। ইউসি নিউজ এশিয়া কাপের মধ্যে একটি শো হোস্ট করছেন। যেখানে বীরেন্দ্র সেহবাগ আর পাকিস্থানের অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি ভক্তদের সঙ্গে লাইভ চ্যাট করছেন।
এই চ্যাট শো চলাকালীন সেহবাগ নিজের ব্যবহার করা টোটকার ব্যাপারে জানান। একটি ঘটনার কথা বলতে গিয়ে সেহবাগ জানান, “ ২০০১ এ শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ চলাকালীন সৌরভ গাঙ্গুলী অধিনায়ক ছিলেন। গাঙ্গুলী আমাকে আর যুবরাজকে এসে বলেন যে দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে যদি এতে তোমরা দুজন রান না করতে পারও তাহলে নিজের জিনিসপত্র প্যাক করে নিও।পরের ম্যাচে আমি লাল রুমাল পকেটে নিয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য যাই আর ১০-১২ রান করে আউট হয়ে যাই। তারপর যুবরাজ ব্যাটিংয়ের জন্য আসেন, আমি ওই রুমাল যুবিকে দিয়ে দিই আর বলি এটা আমার কাজে আসেনি, সম্ভবত তোর কাজে লাগতে পারে। যুবরাজ লাল রুমাল নিয়ে ক্রিজে যায় আর ৯৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ওই রুমাল আজ পর্যন্ত যুবরাজ ফেরত দেয় নি। ফাইনাল ম্যাচে আমিও সেঞ্চুরি ইনিংস খেলি”।
এমনটা নয় যে সেহবাগই খালি ভাগ্যকে নিয়ে অন্ধবিশ্বাসী থেকেছেন। কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান শচীন তেন্ডুলকরও এটা মানতেন। তিনি যখনই ব্যাটিং করার জন্য প্রস্তুত হতে তখন বাঁ পায়ে প্যাড আগে পড়তেন। সেই সঙ্গে নিজের ক্রিকেট ব্যাগে সাইবাবার ছবিও রাখতেন। প্রাক্তণ অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় স্টিভ ওয়াও লাল রুমাল পকেটে রেখে মাঠে নামতেন।