ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে আউট হন। অস্ট্রেলিয়ার পিটার হ্যাণ্ডসকম্ব যখন স্লিপেতার ক্যাচ নেন তখন তিনি ১২৩ রান করে ফেলেছিলেন। সেই সঙ্গে বিরাট কোহলির এই দুর্দান্ত ইনিংস শেষ হয়ে যায়। এটা বিরাট কোহলির অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সপ্তম আর টেস্ট কেরিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি ছিল।
বিতর্ক ছিল বিরাট কোহলির ক্যাচ নিয়ে
যদিও বিরাট কোহলির ক্যাচ বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় যেবল হ্যাণ্ডসকম্বের হাতে যাওয়ার আগে মাটি ছুঁয়েছিল। এই অবস্থায় সাধারণত মাঠের অ্যাম্পায়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রথম তৃতীয় অ্যাম্পায়ারের সাহায্য নেন, কিন্তু এ ক্ষেত্রে মাঠের অ্যাম্পায়ার বিরাট কোহলিকে আউট দিয়ে দেন। বিরাটের ক্যাচ নিয়ে সন্দেহ জানানোর পর মাঠের অ্যাম্পায়ার তৃতীয় অ্যাম্পায়ারের কাছে সাহায্য চান।
হ্যাণ্ডসকম্বের আঙুলের কিছু অংশও বলের নীচে ছিল
তৃতীয় অ্যাম্পায়ারের কাছে সাহায্য চাওয়ার পর রিপ্লে দেখা হয়।তাতে দেখা যায় যে বল হ্যাণ্ডসকম্বের হাতে আওয়ার আগে মাটি ছুঁয়েছিল। কিন্তু এটা স্পষ্ট হওয়া যাচ্ছিল না যে যখন বল মাটি ছুঁয়েছিল তখন হ্যাণ্ডসকম্বের আঙুলের কিছু অংশও বলের নীচে ছিল কিনা? ফলে তৃতীয় অ্যাম্পায়ার যেহেতু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি, এই কারণে তিনি মাঠের অ্যাম্পারের সিদ্ধান্তকেই জারি রাখেন। ক্রিকেটের নিয়মে এটা স্পষ্ট রয়েছে যে এই পরিস্থিতি হলে অ্যাম্পায়ার্স কলকেই শেষ সিদ্ধান্ত মানা হবে।
বিরাট এভাবে নিলেন হ্যাণ্ডসকম্বের কাছ থেকে বদলা
এর মধ্যেই ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি চতুর্থ দিন সকালে প্র্যাকটিস করার সময় কেউ বলকে বিরাটের দিকে ছুঁড়ে দেয় আর তিনি এটা ধরার বদলে ছুঁড়ে দেন আর তারপর ক্যাচের অ্যাপিল করতে থাকেন। তার এই ক্যাচ দেখে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি পিটার হ্যাণ্ডসকম্বকে টিককারি দিচ্ছে। সেই সময় পিটার হ্যাণ্ডসকম্বও প্র্যাকটিস করছিলেন। তার সামনেই বিরাট তাকে হাস্যকর বানানোর চেষ্টা করেন।