ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ঝোড়ো ইনিংসের দমে ভারত ওয়েস্টইন্ডিজের দলকে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে। অধিনায়ক কোহলি ভারতীয় দলের হয়ে ৫০ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। নিজের এই ইনিংসে তিনি ৬টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভারবাউন্ডারি মারেন। এই দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য ভারতীয় অধিনায়ককে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের খেতাব দেওয়া হয়।
আমি ভীষণই মুশকিলে শট খেলতে পারছিলাম
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ভারতের জয়ের পর নিজের প্রেস কনফারেন্সে বলেন,
“সমস্ত তরুণ ব্যাটসম্যানরা যেনো আমার ব্যাটিংয়ের প্রথম ভাগের অনুসরণ না করে, কারণ ওই ব্যাটিংটা ভীষণই খারাপ ছিল। আমি ভীষণই মুশকিলে শট খেলতে পারছিলাম। আমি কেএল রাহুলকে চাপে ফেলতে চাইছিলাম না, এই কারণে নিজের স্ট্রাইকরেটে কম সে কম ১৪০ রাখতে চাইছিলাম। যখন আমি জেসন হোল্ডারের এক ওভারে কিছু বাউন্ডারি মারি আর তারপর আমি বিশ্লেষণ করি যে আমি কি ভুল করছি আর তারপর আমি নিজের ইনিংসের দ্বিতীয়ভাগ ভীষণই ভালোভাবে খেলেছি”।
আমি কোনো এমন ব্যক্তি নই যে ভিড়ের মনোরঞ্জনের জন্য বলকে হাওয়ায় মারে
বিরাট কোহলি আগে আরো বলেন যে, “যখনই আমি টি-২০ ক্রিকেট খেলি, তো আমি কোনো এমন ব্যক্তি নই যে এখানে ভিড়ের মনোরঞ্জন করার জন্য বলকে হাওয়ায় উড়িয়ে শট খেলবে। আমি স্রেফ নিজের কাজ করার দিকে ধ্যান কেন্দ্রিত করি। আমার এই ফর্ম্যাটের জন্য অনেক কিছু পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। আমি তিন ফর্ম্যাটে নিজের সম্পূর্ণ যোগদান দিতে চাই। যখন আপনি একটা বড়ো লক্ষ্যকে তাড়া করতে থাকেন, তো স্কোর বোর্ডের আপনার উপর যথেষ্ট চাপ থাকে। যদি আপনি কিছু ডট বল খেলেন তো আপনাকে পরিস্থিতি এমন স্থিতিতে ফেলে দেয় যেখানে আপনাকে একটা বড়ো শট খেলতে হয়”।
সিগনেচার সেলিব্রেশন নিয়েও কথা বলেন বিরাট কোহলি
নিজের সিগনেচার সেলিব্রেশন নিয়ে অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, “এটা সিপিএলে কেসরিক উইলিয়ামসের সেলিব্রেশনের ব্যাপারে ছিল না, বরং ও এমনটা আমার সঙ্গে ২০১৭য় জামাইকায় করেছিল। যখন ও আমাকে আউট করে দিয়েছিল, তখন ও এই সেলিব্রেশন করেছিল। আজ আমিও এটা করেছি, কিন্তু এটা স্রেফ মাঠেই ছিল। শেষে আমরা দুজনে হাত মিলিয়েছি। এটাই ক্রিকেট। আমরা মাঠে প্রতিযোগী থাকি, কিন্তু বিরোধীদের সম্মানও করি”।