বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারার পর টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর সহঅধিনায়ক রোহিত শর্মার মধ্যে মনোমালিন্যের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। চারদিকে কেবল এই দুজনের বিবাদের খবর শোনা যাচ্ছিল। যদিও কোহলি ওয়েস্টইন্দিজ সফরে রওনা হওয়ার আগে পরিস্কার করে দিয়েছিলেন যে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ একদম ঠিক রয়েছে আর তার এবং রোহিতের মধ্যে কোনো বিষয়ে সমস্যা নেই। এখন এই বিষয়ে প্রাক্তন বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র সেহবাগ নিজের রায় দিয়েছেন।
বিরাট-রোহিতের মধ্যে বিবাদ নিয়ে বললেন সেহবাগ
মুম্বাইতে ইন্ডিয়া বুক লঞ্চে উপস্থিত সেহবাগ বলেন,
“যদি একটি পরিবারে চারজন মানুষ থাকেন, তো এটা জরুরী নয় যে তারা সকলেই এক সঙ্গে খাবার খাবে বা একসঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাবে। কিন্তু এটা নিশ্চিত হয় যে তারা একটি সমারোহ চলাকালীন তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। এই কারণে এটা মানার জন্য কি বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা একসঙ্গে খাবার খাওয়ার জন্য যায়নি তো আপনি নিজেই ফলাফল বের করে নিলেন যে ওদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। যতক্ষণ না ওরা সামনে এসে এই বিষয়ে নিজেরা না বলে বা আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমান না থাকে, ততক্ষণ আপনি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারেন না”।
নিজের আর ধোনির মধ্যে ঝগড়া নিয়েও বললেন সেহবাগ
যেভাবে বিরাট-রোহিতের মধ্যে ঝামেলার খবরে হইচই পড়ে গিয়েছিল ঠিক সেইভাবেই কিছু বছর আগে সেহবাগ আর ধোনির মধ্যেও ঝামেলার খবর শিরোনামে উঠে এসেছিল। এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সেহবাগ বলেন,
“আমার আর ধোনির মধ্যেও একসময় ঝগড়ার ব্যাপারে যথেষ্ট কথাবার্তা হয়েছিল, কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনো বিবাদ ছিল না। আমি জানি না যে কোন মিডিয়া সোর্সকে এই ধরণের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই লড়াইয়ের খবরগুলো কাগজেই ভাল লাগে, আসলে এমন কিছুই নেই কারণ যদি এমন কিছুই হত তো তাহলে তারা দুজনকে কখনো কথাবার্তা বা শলা পরামর্শ করতে দেখা যেত না”।
সেই সঙ্গেই সেহবাগ এটাও বলেন যে,
“আমি কেবল এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি যদি আমাকে এই বিষয়ের প্রমান দেওয়া হয় যে ও দুজনের মধ্যে লড়াই আছে কিন্তু আমার মনে হয় না যে দুজনের মধ্যে কোনো রকম চিড় ধরেছে”।
বিনোদ রাইকে পর্যন্ত দিতে হয়েছিল সাফাই
প্রশাসক কমিটির সভাপতি বিনোদ রাইকেও বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার মধ্যে ভাঙলের খবরে নিজের মুখ খুলতে হয়েছিল। তিনি পরিস্কারভাবে এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছিলেন যে দলে কারোর মধ্যেই কোনো ভাঙন নেই। এরপর কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কারও বলেছিল,
‘বিরাট আর রোহিত যদি ছাদে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলে তাও এই গল্প এখানে শেষ হবে না। এখন যখনই রোহিত শর্মা কম রানে আউট হবে তো কিছু মানুষ এমন থাকবেন যাদের এটা মনে হবে যে ও জেনেশুনে আউট হয়ে গিয়েছে। এটা তো নিশ্চিত যে যারাই এই ধরণের খবর ছড়াচ্ছে তারা ভারতীয় ক্রিকেটের শুভচিন্তক নন। বেশ কয়েকবার এমন হয় যে দলের কোনো চিন্তিত খেলোয়াড় এমন গুজবকে হাওয়া দেন। তার ঈর্ষার ভাবনায় পুরো দলের লোকসান হয়”।