দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হারের সঙ্গেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর আইপিএল ২০১৯ থেকে ছিটকে গিয়েছে। দলের প্লে অফের আশা বজায় রাখার জন্য সমস্ত ম্যাচ জিততে হত কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালস আজ তাদের ১৬ রানে হারিয়ে দিয়েছে। বিরাট কোহলির দলের এটি এই মরশুমের ১২টি ম্যাচের মধ্যে অষ্টম হার। তারা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া প্রথম দল।
আমরা বেশি রান দিয়েছি
দিল্লি ক্যাপিটালসের দল প্রথমে ব্যাট করে ১৮৭ রান করেছিল। এক সময় এই স্কোর ১৬৫র আশেপাশে দেখাচ্ছিল কিন্তু শেষ ওভারে শেরফেন র্যা দারফোর্ড আর অক্ষর প্যাটেল ৪৬ রান করে দেয়। এই হারের পর বিরাট কোহলি বলেন,
“টস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বিশেষভাবে উইকেট কিভাবে খেলেছে। আমরা টস হারার পরও পিচ অনেক চরিত্র এখিয়েছে, কিন্তু শেষে এটা সামান্য দূর হয়ে গিয়েছে। আমরা ১৬০-১৬৫ আশেপাশে ভাবছিলাম, কিন্তু এই পিচে ১৮৫র স্কোর তিন স্পিনারের সামনে সবসময়ই কঠিন হওয়ার ছিল। দিল্লি ক্রাঞ্চ মুহূর্তে আমাদের থেকে ভাল খেলেছে”।
আউট করার মত বল ছিল না
বিরাট কোহলি আর এবি ডেভিলিয়সস ম্যাচে শর্ট বলে আউট হয়ে যান। দুই ব্যাটসম্যানই ছক্কা মারার বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে বসেন। এই কারণে দলের দ্রুত শুরুর পরও বড় স্কোর করতে পারেনি। বিরাট কোহলি আগে বলেন,
“আমরা ব্যাট হাতে ভাল শুরু করেছি। পিপি দুর্দান্ত শুরু করেছিল আর আমিও রান করেছি, কিন্তু আমি আর এবি সেই বলে আউট হয়েছি যে বলে আউট হওয়া উচিৎ ছিল না। আমরা মস্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কারণে আমরা গত ছটি ম্যাচের মধ্যে চারটি জিতেছি। গুরুত্বপূর্ণ কথা হল এখন মজা করতে হবে আর চাপ নেব না”।
শুরুর ৬টি ম্যাচ হারে
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এই মরশুমের প্রথম ৬টি ম্যাচে লাগাতার হার হয়েছিল অধিনায়ক কোহলির মতে এরপর যে কোনো দলের জন্যই প্রত্যাবর্তন করা মুশকিল। বিরাট নিজের বয়ানে শেষে বলেন,
“আমরা প্রথম ৬টি ম্যাচ নিজেদের ভীষণই চাপেরেখেছি আর পরের হাফে সবসময়ই কঠিন মেহনত করেছি। আমাদের সেখানে গিয়ে পজিটিভ ক্রিকেট খেলতে হবে। একবার শেষ দুটি ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর বসে যাও আর দেখ যে টুর্নামেন্ট কোথায় যায়”।