ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাত কোহলি নিজেকে আগামী তিন মুশকিল বছরের জন্য তৈরি করছেন। এই তিন বছরে তিনি তিনটি ফর্ম্যাটের সবকটিতেই খেলবেন। এরপর তিনি নিজের ওয়ার্কলোডের পরিমাপ করবেন। বিশ্বের শীর্ষ ব্যাটসম্যানের নজর আগামী তিন বছরে হতে চলা দুটি টি-২০ বিশ্বকাপ আর একটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের দিকে রয়েছে। এরপর তিনি তিন্টির মধ্যে কোনো দুটি ফর্ম্যাটে খেলার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করতে পারেন।
বিরাট কোহলি কী কোনো একটি ফর্ম্যাট থেকে দ্রুত নেবেন অবসর?
কোহলিকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে ২০২১এ ভারতে হতে চলা টি-২০ বিশ্বকাপের পর কি তিনি কোনো একটি ফর্ম্যাটে খেলা ছেড়ে দেবেন, তো তিনি বলেন, “আমার দৃষ্টি বড়ো ছবির দিকে রয়েছে। আমি নিজেকে আগামী তিন বছরের জন্য তৈরি করছি। তারপর সম্ভবত আমি আলাদা কথা বলব”।
সবসময়ই জোশ আর প্যাশনের সঙ্গে মাঠে নামি: বিরাট কোহলি
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু হতে চলা টেস্ট সিরিজের আগে প্রেস কনফারেন্সে অধিনায়ক ক্লান্তি আর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের উপর খোলাখুলি কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আপনি লুকোতে পারেন না। প্রায় ৮ বছর ধরে আমি বছরে প্রায় ৩০০ দিন খেলছি। এর মধ্যে সফর আর প্র্যাকটিস সেশন শামিল রয়েছে। আর প্রত্যেকবার ততটাই জোশ আর প্যাশানের সঙ্গে আমি মাঠে নামি। এতে আপনার উপর যথেষ্ট চাপ পড়ে”।
ব্রেকে নেওয়ায় পেয়েছি ফায়দা
কোহলি এই বছর ৩১ বছরের হয়ে যাবেন। তিনি মেনে নিয়েছেন যে মাঝে মাঝে ব্রেক নেওয়ায় তার ফায়দা হয়েছে। তিনি বলেন, “এমনটা নয় যে খেলোয়াড়রা প্রত্যেক সময় এর ব্যাপারে ভাবতে থাকেন। আমরা ব্যক্তিগতভাবে মাঝে মাঝে ব্রেক নিতে থাকি, তবে বেশকয়েকবার শিডিউল আপনাকে এমনটা করার অনুমতি দেয় না। এটা সেই খেলোয়াড়দের জন্য অনেক বেশি জরুরী যারা তিন ফর্ম্যাটে খেলেন।
কোহলির জন্য এটা স্রেফ প্রদর্শনের ব্যাপারে নয়, তবে অধিনায়কত্বেরও ব্যাপার, যার মধ্যে আপনাকে রণনীতি তৈরি করার জন্য লাগাতার মাথা অ্যাক্টিভ রাখতে হয়। তিনি বলেন, “অধিনায়ক হওয়া, প্র্যাকটিস সেশনেও সেই জোশ দেখানো, এসব সহজ নয়। এতে আপনার উপর যথেষ্ট চাপ পড়ে। মাঝে মাঝে ব্রেক নেওয়া ভালো হয়”।
আগামী দু-তিন বছর পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই
তিনি বলেন, “যখন আমার শরীর আর চাপ নিতে পারবে না, যখন আমি ৩৪ বা ৩৫ বছরের হয়ে যাব, তখন সম্ভবত আমরা আলাদা কথা বলব। আগামী দু-তিন বছর পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিজের উপস্থিতি আর ফর্মের গুরুত্ব বিরাট কোহলি যথেষ্ট বোঝেন। তিনি বলেন, “আমি এই উৎসাহে খেলতে পারি আর বুঝি যে দলের আগামী দু-তিন বছর পর্যন্ত আমার সহযোগীতার প্রয়োজন, তো আমি চাই যে আরো একটি ট্রানজিশন পিরিয়ড থেকে দল সহজেই বেরিয়ে আসুক”।