ক্রিকেটের ইতিহাস নতুন করে লিখে এবং মোহালির পিসিএ স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বোলারটে পিটিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ান ডে আন্তর্জাতিকে তৃতীয় ডবল সেঞ্চুরি করে ফেললেন রোহিত শর্মা। এই মুম্বাইকর শ্রীলঙ্কার বোলারদের প্রতি কতটা নির্মম ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় মাত্র ৩৫ বলে তার ২য় ১০০ রান করার মধ্যে। শ্রীলঙ্কার জোরে বোলারদের নিয়ে প্রায় ছেলেখেলা করে তাদের ক্লাব স্তরে নামিয়ে এনে রোহিত তার ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে ১১টি ছক্কা হাঁকান। সবসময়ের মতই এই ম্যাচে রোহিতকে প্রথম থেকে সতর্ক হয়ে ধীরে ধীরে নিজের ইনিংসকে গড়তে দেখা যায়। দ্বিতীয় উইকেটে শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে একটা দারুণ পার্টনারশিপ খেলার পথে রোহিতকে বেশ কিছু এক্সেপশনাল শট খেলতেও দেখা যায়। ভারতীয় ইনিংসের শেষ দিকে ম্যাচের কন্ট্রোল নিজের হাতে নিয়ে নেন রোহিত।
এবং তার নির্দয় প্রহারে রোহিতে আক্রমনের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কার বোলারদের তার সামনে মাথা চুলকোতে দেখা যায়। ওপেনার শিখর ধবন রোহিতকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে একটা দারুণ শুরুয়াত দেন এবং শিখর নিজেও বেশ ভাল রান করে। এবং ভারতের হয়ে এই দুজনে ওপেনিং জুটিতে ১১৫ রান করেন। শুরুর দিকে রোহিত কিছুটা ধীরে শুরু করলেও ইনিংসের দ্বিতীয়ভাগে তিনি দারুণ কিছু বড়ো শট খেলেন। যা ভারতকে তাদের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৯২ রানে বিশাল স্কোর করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে অধিনায়ক হিসেবে এটা ছিল রোহিতের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ। এবং নিয়মিত অধিনায়ক বিরাটের মতই প্রথম দুটি ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে একই রেকর্ডের অধিকারী হলে রোহিত। ধর্মশালাতে ওপেনিং করে রোহিত মাত্র ২ রানই করেছিলেন। ২০১৩য় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিরাটও অধিনায়ক হিসেবে ২ রানই করেছিলেন।
কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় ম্যাচেই পোর্ট অফ স্পেনে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। সেই একই পথের পথিক হয়ে রোহিতও এদিন একদিনের ক্রিকেটে তার ১৬ তম সেঞ্চুরিটি করে ফেলেন। প্রসঙ্গত এদিন রোহিত এবং তার স্ত্রী রিতিকার দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী ছিল। এবং এই ডবল সেঞ্চুরিটি ছিল রিতিকার জন্য বিবাহবার্ষিকির অসাধারণ একটা উপহার। নিজের ডবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরপরই রোহিত তার দিকে একটি ফ্লাইং কিস ছুড়ে দেন। দর্শকাসনে বসা রিতিকাকেও তখন ভীষণ আবেগী দেখাচ্ছিল এবং সেইসময় তাকে কাঁদতেও দেখা যায়।