একদিনের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কাবাহিনীকে ৩ উইকেটে হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ভারত। এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় কোহলিব্রিগেড। প্রথমে ব্যাট করে ২৩৬ রান করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীবর্ধনা করেন ৫৮ রান। কাপুগেদারা করেন ৪০। ভারতের হয়ে উল্লেখযোগ্য বল করেন যশপ্রীত বুমরাহ। তিনি ৪ উইকেট নেন। তবে বিরতির সময়ে বৃষ্টির জন্য ভারতের টার্গেট কমে দাঁড়ায় ২৩১। সেই সঙ্গে ওভার সংখ্যাও কমে ৪৭ হয়ে যায়। রোহিত-ধবন জুটি শুরুটা ভাল করলেও পরের দিকে উইকেটে পতন শুরু হয়। বিরাট এদিন ফিরে যান মাত্র ২ রানে। লোকেশ রাহুল, কেদার যাদব বা হার্দিক পাণ্ড্য কেউই দাঁড়াতে পারেননি। তবে হাল ধরেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও ভুবনেশ্বর কুমার। ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও দলকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে নিয়ে যান। অভিজ্ঞ ধনির অপরাজিত ৪৫ এবং ভুবনেশ্বর কুমারের অভিষেক অর্ধশতকে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তিন উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারতীয়রা। লঙ্কানদের হয়ে আকিলা ধনঞ্জয়া একাই নেন ৫৪ রানে ৬ উইকেট।
ম্যাচ শেষে দলের এই কষ্টসাধ্য জয়ে নিয়ে কথা বলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এই ম্যাচটিকে তিনি একটি শিক্ষা হিসেবে নিচ্ছেন ভবিষ্যতের জন্য। এমন টাই জানান তিনি। তবে ম্যাচ থেকে পজিটিভ কিছু দিকও তিনি দেখছেন। ভারত দলপতি শ্রীলংকার স্পিনার আকিলার প্রসংশা করেন যে ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে ভারতের জয়কে কষ্টকর করে দিয়েছিল।
“এটা ক্রিকেটের দারুণ একটি ম্যাচ ছিল। আমি বলবো এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা ছিল। তবে এটা ভালো ছিল আমরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছি। দেখতে দারুণ ছিল যে, ২৩০ রানের জয়ের লক্ষে ২ টি ১০০ রানের পার্টনারশিপ ছিল। এটা অদ্ভুত খেলা ছিল তবে ভালো যে আমরা জিতেছি। আপনি চাইবেন যে দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদেরকেও ব্যাটিং এর সুযোগ দিতে। আমরা ভাকো বলে আউট হয়েছি। আকিলা দারুণ একটি স্পেল করেছে বোলিংয়ে। এমনকি ৩ নাম্বারে ব্যাটিং করার পরও আমি ওই ডেলিভারি টিতে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। এটা আসলেই অনেক কষ্টসাধ্য এমন কারো বিরুদ্ধে ব্যাটিং করা যার সমন্ধে আগে থেকে কোনো ধারণা নেই। তবে সামনে থেকে অবশ্যই আরো সতর্ক হয়ে খেলবো। তাকে অবশ্যই ক্রেডিট দিতে হবে, সে আমাদের দুর্বলতা গুলোকে কাজে লাগিয়েছে। সে স্টাম্পে আক্রমণ করেছে।“