ভারতের টেস্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাত মুরালি বিজয় তার ইনজুরি হতে পূনর্বাসন প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ভারত যখন দেশের মাটিতে নিউজল্যান্ড, বাংলাদেশ, ইংল্যন্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ টি টেস্ট খেলা কালিন সময় কোমরে আঘাত পান। একটা ভাল মৌসুম কাটছিল মুরালি বিজয়ের, ইনজুরির আগে খেলা ১২ টেস্টে ৩৬.৭১ গড়ে ৭৭১ রান করে হয়েছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। এ সময় তিনি তিনটি শতক এবং তিনটি অর্ধ শতক করেন। কোমরের আগে আঘাত পেয়েছিলেন কাধেও। লন্ডনে অপারেশন শেষে এখন চলছে ফিরে আসার পূনর্বাসন প্রক্রিয়া।
** ফিরে আসার এক অদ্ভুত প্রক্রিয়া : মুরালি বিজয় বর্তমানে প্রায় শতভাগ ফিট। কিন্তু এই সময় ভারতের কোন টেস্ট ম্যাচ না থাকায় তিনি নিজেকে ফিট রাখার জন্য বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের সার্ফিং। শনিবার তিনি সার্ফিং, গান ও ইয়োগা উৎসব নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ২০০৮ সালে বিজয়ের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাগপুরে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়। গৌতম গাম্ভীরের জায়গায় তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই সময়ে বিজয় রঞ্জি ট্রফিতে অংশগ্রহণ কুরেছিলেন এবং তার সিরিজের শেষ টেস্টে তার অভিষেক হয়। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক এলান বর্ডার বিজয়ের ফ্রন্টফুট এবং ব্যাকফুট খেলার প্রশংসা করেন। বিজয় একদিনের আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ ম্যাচে। এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান বলেন, “আপনি যখন খুব ব্যস্ত পার করবেন এবং চাপের মধ্যে খেলবেন তখন সব সময় আপনি যা ভাববেন তাই হবে না। সব কিছু জয় করার খুব বেশি সময়ও পাওয়া যায় না। মনকে খালি রাখুন, সক্রিয় থাকুন, প্ররোচক থাকুন। এই সার্ফিং প্রতিযোগিতায়য় অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি জোন্টি রোডসও ছিলেন, যিনিও একজন সার্ফিং প্রেমিক।
দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সময়কালে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন জন্টি রোডস । ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খুবই দ্রুতগতিতে দৌঁড়ানোয় অভ্যস্ত ছিলেন। ফিল্ডিংয়ে ভীষণ দক্ষ ছিলেন। বিশেষ করে মাঠে ফিল্ডিং করে ক্যাচে সিদ্ধহস্তের পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। সচরাচর ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টেই নিজেকে জড়িত রাখতেন। ২০০৫ সালের শেষদিকে ক্রিকইনফো তাদের এক প্রতিবেদন দেখায় যে, ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকেছ যে-কোন ফিল্ডসম্যানের তুলনায় নবম সর্বোচ্চসংখ্যক রান আউট ও সফলতার দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের ছিলেন তিনি। জন্টি রোডস সম্পর্কে মুরালি বিজয় বলেন, “তিনি সার্ফিং এর গুরু, অল্প ই তার সাথে আমার কথা হয়েছে। মুরালি বিজয় এটাও নিশ্চিত করেছেন যে তিনি শতভাগ ফিট হয়ে ই আসবেন। তাই তিনি তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লীগে খেলছেন। তিনি বলেন, ” আমি বেশ ভাল অনুভব করছি, কঠোর অনুশীলন করছি এবং প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। এই মূহুর্তে আমি সঠিক পথে ই আছি। ” তিনি আরো বলেন, “এটা সব সময় ই খুব ভাল বিষয় যে আপনি যখন ইনজুরি হতে ফিরার সময় কাছের মানুষের সমর্থন পাবেন।”