জল্পনাটা প্রথম থেকেই শুরু হয়েছিল। গত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে আঙুলে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছিলেন শিখর ধাওয়ান।ম্যাচে সেন্চুরি করার পাশাপাশি ” ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ” আর পুরস্কার পেলেও তিন সপ্তাহে এখন দলের বাইরেই কাটাতে হবে তাকে। তার চোট পাওয়ার পর থেকেই তৈরী হয়েছিল তীব্র জল্পনা, তার পরবর্তী ক্রিকেটার হিসেবে কে খেলবে এ আলোচনায় অনেকেই এগিয়ে রেখেছিলেন ঋষভ পন্থ।এমনকি তাকে ভারত থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল এদেশে।
কিন্তু ম্যাচের দিন শেষে গোটা দল আস্থা দেখালো বিজয় শঙ্করের উপর।এইবার তাকে দলে নেওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে তার প্রতি তীব্র আস্থা প্রকাশ করেছিলেন নির্বাচকরা।ব্যাটে – বলে – ফিল্ডিংয়ে তিন বিভাগেই দলকে নির্ভরতা দেবে এমনটাই বলেছিলেন নির্বাচক মন্ডলীর প্রধান । শুধু তাই নয় আজকের ম্যাচে দলে তার খেলাটা জরুরি বলেই মনে করেছিলেন কিংবদন্তী ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবিলের চার নম্বরে রয়েছে ভারত।এইমুহুর্তে বিরাটদের পয়েন্ট সংখ্যা পাঁচ।শুরুতে দারুন দুই জয় সাউথ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, এরপর নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে চারে রয়েছে বিরাটরা।আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে আরও একটা জয় বিরাটদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনাকে করে তুলেছে দৃঢ়।
১৯৯২ সালে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় ভারত – পাকিস্তান।এখনো অবধি এই দুই দলের স্কোর লাইনে এগিয়ে ৬ -০ ।যদিও এবার অঘটন ঘটাতে তৈরি সরফরাজরা।এদিকে ম্যাচের আগে দলের বার্তা দিলেন ইমরান খান।টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ক্রিকেটে সফল হতে লাগে ৭০ শতাংশ প্রতিভা এবং ৩০ শতাংশ মানসিক শক্তি।কিন্তু কেরিয়ারের একেবারে শেষে এসে আমার মনে হয়েছিল এই দুটো জিনিসেরই প্রয়োজন ৫০ – ৫০ ।আর বর্তমানে ৬০ শতাংশ মানসিক শক্তির প্রয়োজন আছে বলে মনে করি আমি।আমার সাথে এ বিষয়ে সহমত পোষণ করে আমার বন্ধু সুনীল গাভাস্কার।অর্থাৎ মাঠে নেমে নেতিবাচক মনোভাব কে দুরে সরিয়ে খেলার উপর মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।অযথা বিস্তর ভাবনা চিন্তা না করে শুধুমাত্র নিজের সেরাটা দাও ,ম্যাচের ফলাফল যাই হোক তা নিয়ে অযথা ভাবনা চিন্তা করার কিছু নেই বলেই মনে করেন তিনি।
একনজরে ভারতীয় একাদশ :
রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল, বিরাট কোহলি, বিজয় শঙ্কর,এম এস ধোনি, কেদার যাদব,হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার,কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল , জসপ্রীত বুমরাহ।