একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর কোনও ক্রিকেটারের দখলে? জবাবে একযোগে সবাই ভারতীয় দলের ওপেনার ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার নাম বলবেন। যিনি ইডেন গার্ডেন্সে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৬৪ রানের একটি দূর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। যদিও সম্প্রতি অন্য একটি তথ্য উঠে এসেছে সবার সামনে। সেটা হল ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোরের মালিক ইউসুফ পাঠান। সেটা আর কেউ না, বলছে উইকিপিডিয়া। উইকি–র মতে, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের অন্যতম মারকুটে ব্যাটসম্যান ইউসুফ পাঠানই ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ ১২৩০ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। যেটা দেখে একযোগে সবার চক্ষু ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে। কারণ, কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই ব্যাটসম্যানটি আদৌ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কারনামা করেননি। উইকিপিডিয়া ভুল তথ্য প্রকাশ করেছে। বাস্তবে ইউসুফ পাঠান ব্যাট হাতে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি ভারতের হয়ে ৯৬ বলে ১২৩ রানের এই বড় ইনিংস খেলে দলকে জয় উপহার দিয়েছিলেন।
২০১০ সালের ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড নিজেদের স্কোর বোর্ডে ৩১৬ রান জমা করেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মধ্যিখানে বেকায়দায় পড়ে যায়। ১৮৮ রানে দলের গুরুতবপূর্ণ ৫টি উইকেট হারিয়ে বসে টিম ইন্ডিয়া। ঠিক তখনই ক্রিজে ব্যাট হাতে নেমে ব্যাটে ঝড় তোলেন ইউসুফ। করেন ৯৬ বলে ১২৩ রান। মূলত, তাঁর সে ব্যাটিং ঝড়ের সুবাদে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দেয় ভারত। যদিও উইকিপিডিয়া নিজেদের পেজে ইউসুফের সর্বোচ্চ রানটি ভুল ছাপে। ১২৩ রানের জায়গায় ১২৩০ রান করে দেয়। উইকির মতে, বরোদার এই ক্রিকেটারটি একাই সেই ম্যাচে এক হাজারের বেশি রান করেছেন। বাস্তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ৩৪ বছর বয়সী এই সফল ব্যাটসম্যানটি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৫৭টি ওয়ানডে ম্যাচে মোট ৮৭০ রান করেছেন।
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আঙিনায় পা রাখা ইউসুফ পাঠানকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৮ মার্চ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে দেখা গিয়েছিল। অফ ফর্মের কারণে তারপর থেকে তাঁকে আর ভারতীয় দলের ৫০ ওভারের ম্যাচে খেলতে দেখা যায়নি। যদিও তারপর থেকে তিনি আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে নিজেকে অন্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে থাকেন। সম্প্রতি পাঠান তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে শেষ আইপিএলে ভালো পারফরম্যান্স করতে না পারার কারণে তিনি তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বাইরের ক্রিকেটারদের রাজ্য লিগে অংশগ্রহণের বিরোধীতা করছে, যদিও ইউসুফ মনে করেন তিনি সব নিয়ম মেনেই চলছেন।