আজ ভারতীয় দলের জোরে বোলিংকে ঘরোয়া মাঠে প্রভাবশালী করে তোলা উমেশ যাদবের প্রশংসা করতে সকলকেই দেখা যায়। কিন্তু শুরুতে তিনি মুশকিল সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। জোরে বোলার উমেশ যাদব পুরোনো স্মৃতিকে স্মরণ করে জানিয়েছেন যে স্পাইকস না থাকার কারণে কোচ তাকে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ক্রিকেট ছাড়ার ব্যাপারে ভেবেছিলেন।
উমেশ যাদবকে কোচ মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন, জানুন কারণ
ভারতীয় দলের জোরে বোলিংকে আরো মজবুত করা উএশ যাদব কেরিয়ারের শুরুতে নিজের গতিতে সকলকে অনেকবেশি প্রভাবিত করেছিলেন। কিন্তু গরীব পরিবার থেকে উঠে আসা উমেশ যাদব আজ নিজের একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছেন। দারিদ্র্যের কারণে তাকে শুরুতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। যে ব্যাপারে এখন তিনি ক্রিকবাজের শো স্পাইসি পিচকে দেওয়া ইন্টারভিউতে বলেছেন যে,
“নাগপুরের হয়ে খেলার সময় আমি যখন ৮ উইকেট হাসিল করি তো নির্বাচকরা বলেন একে ক্যাম্পে ডাকো। প্রায় ২০-২১ বছর বয়সে আমি বিদর্ভের হয়ে খেলার স্বপ্ন নিয়ে ক্যাম্পে যাই। এটা আমার প্রথম সুযোগ ছিল। যখন আমি মাঠে পৌঁছই তো কোচ আমার পায়ের জুতো দেখেন। আমি স্পোর্টস সু পড়েছিলাম”।
স্পাইক নিয়ে উমেশ যাদবের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন কোচ
দারিদ্র্যের কারণে স্পাইক না কিনতে পারা উমেশ যাদবের উপর কোচ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলা উমেশ যাদব এই ঘটনা নিয়ে বলেন যে,
“তিনি প্রশ্ন করেন স্পাইক কোথায়। আমি বলি আমার কাছে এটা নেই। এটা শুনতেই তিনি রাগে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। জীবনের ওই দিনটি আমি আজ পর্যন্ত ভুলিনি। সেই দিন মনে হয়েছিল যে ক্রিকেটই ছেড়ে দিই। কোচ এত রুক্ষ্মভাবে বলেছিলেন যে জুতোই নেই আর বোলিং করতে এসেছে। সেই সময় জানতাম না স্পাইক থাকা চাই। এটা চাই ওটা চাই। তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে বলেন, যে কাউকে খুশি ডেকে নেওয়া হয়। পাঠিয়ে দাও আর সে জানেন যা যে স্পাইক কী। আমাকে বলেন তুমি এখান থেকে চলে যাও”।
ক্রিকেট ছাড়ার কথা নিয়েও বলেন উমেশ
সেই সময় ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রতিবান উমেশ যাদব বলেন যে,
“সেই দিন এত খারাপ লেগেছিল যে আমি ক্রিকেট ছাড়ার ব্যাপারে ভাবছিলাম। কিন্তু সেই সময় বন্ধুরা বোঝায়। তারপর আমি অনেক ভাবি আর নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করি। কখনো ভাবিনি রাহুল দ্রাবিড় আর ভিভিএস লক্ষ্মণের মতো তারকা ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে দলীপ ট্রফিতে বোলিং করব”।