ভারতীয় ক্রিকেট দলের জোরে বোলার উমেশ যাদব এই সময় এমনিতেই সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন, কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত ভালো প্রদর্শন করছেন। বিদর্ভ এক্সপ্রেস নামে পরিচিত উমেশ যাদব গত প্রায় ১০ বছর ধরে ভারতীয় দলের সঙ্গে খেলছেন যার মধ্যে তিনি বেশকিছু অধিনায়কের আন্ডারে খেলেছেন।
উমেশ যাদব খেলেছেন বিরাট আর ধোনি দুজনের অধিনায়কত্বে
উমেশ যাদব বিশেষ করে বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর তার আগে প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে খেলেছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি আর বিরাট কোহলি দুজনের অধিনায়কত্বে উমেশ যাদবের প্রদর্শন ভালো থেকেছে। ভারতের এই জোরে বোলারের বিরাট আর ধোনি দুজনের অধিনায়কত্বে খেলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে, এই কারণে তিনি সহজেই বলতে পারেন যে বিরাট আর ধোনির মধ্যে তার রায়ে কে বেশি ভালোভাবে অধিনায়কত্ব করার জন্য।
উমেশ যাদব ধোনি আর বিরাট অধিনায়কত্বের করলেন তুলনা
এই বিষয়টি উমেশ যাদব শেয়ার করেছেন। আর একটি ইন্টারভিউ চলাকালীন তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি-বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব থেকে শুরু করে থুতুর ব্যবহার ব্যান হওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিষয় শেয়ার করেছেন। উমেশ যাদব ধোনি-কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে বলেন যে, “আমি মাহী ভাইয়ের দিকনির্দেশে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলাম। মানুষ ওনাকে ক্যাপ্টেক কুল বলে থাকেন। আমি ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যা আমি কোহলির দিক নির্দেশে ব্যবহার করছি। বিরাট কোহলিও দুর্দান্ত অধিনায়ক। ও যথেষ্ট আক্রামণাত্মক। আমাদের শারীরিক ভাষা, আমাদের ভাবনা সমস্ত মেলে। ওর দিক নির্দেশে খেলা ভালো লাগে”।
থুতুর ব্যান নিয়ে খেলার পর জানা যাবে প্রভাব
আগে উমেশ যাদব থুতুর ব্যান নিয়ে বলেন যে, “হ্যাঁ, থুতু ছাড়া হঠাত করে আবারো খেলা শুরু করা মুশকিল হবে। আমরা প্র্যাকটিস শুরু করিনি। একবার যখন আমি মাঠে নেমে পড়ব আর থুতুর ব্যবহার ছাড়াই খেলার প্র্যাকটিস শুরু করব তো জানা যাবে এর প্রভাব কী। পুরোনো বলের সঙ্গে এটা এখনো ঠিক, কিন্তু নতুন বলের সঙ্গে আমি জানি যা থুতু ব্যবহার না করায় এটা কতটা চকচকে হবে। সাদা বলে কম সুইং হয়, এই কারণে টি-২০ ফর্ম্যাটের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু মুশকিল সেই সময় হবে যখন আমরা টেস্ট ম্যাচ খেলব। যদি থুতুর ব্যবহার না করতে পারি তো বলকে সুইং করানোর জন্য আমাদের নতুন টেকনিকের ব্যাপারে ভাবতে হবে। একবার প্র্যাকটিস শুরু হয়ে গেলে আমরা জানতে পারব এটা থেকে কীভাবে পার পাওয়া যাবে”।
আমাদের দলের বোলিং মজবুত
লকডাউনের পর প্রত্যাবর্তন নিয়ে উমেশ বলেন যে, “একজন পেশাদার হিসেবে যখন আপনি মাঠে যান তো আপনি নিজের ১০০ শতাংশ দিতে চান। কিন্তু সেই সঙ্গে আপনাকে এটার উপরও মনোযোগ দেওয়া জরুরী যে লকডাউনের পর আপনি সেইভাবে প্র্যাকটিস করছেন না যেমনটা আগে করতেন। এই কারণে শারীরিকভাবে বোলিং করা আর ফিল্ডিং করা সামান্য মুশকিল হবে। লকডাউনের পর আমরা যখন মাঠে ফিরব তো আমারা এটা নিয়ে কাজ করা শুরু করে দেব”। ভারতীয় দলের বোলিং নিয়ে তিনি বলেন যে, “আমাদের বোলিং বিভাগ যথেষ্ট মজবুত আর সমস্ত বোলার দুর্দান্ত প্রদর্শন করছেন। এই কারণে আমার মত হলো যে জোরে বোলারদের মধ্যে দলে সুস্থ প্রতিযোগীতা রয়েছে। যখন আমি প্র্যাকটিস করি তো প্রতিযোগীতার হিসেবে প্রত্যেকদিন এতে উন্নতি করি”।