আকাশী-নীল জার্সি ধারীদের পেস বোলিংয়ে ধুঁকতে দেখা গেছে সবসময়ই। ২০১১ বিশ্বকাপে অবশ্য জহির খানের ২১ উইকেট বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখে। দরজায় কড়া নাড়ছে আরো একটি বিশ্বকাপ আর বিশ্বকাপ ঘিরে পেস দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে ভারত। ধীরে ধীরে পেস আক্রমণে শাণিত হওয়া টিম ইন্ডিয়ায় বর্তমানে রয়েছে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান পেস বোলার।
বর্তমানে ভারতীয় দলের পেস বোলিং বিভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহ। অন্যদিকে হার্দিক পান্ডিয়ার পাশাপাশি রয়েছেন তরুণ খলিল আহমেদ। ওয়ানডে ফরম্যাটে সমান তালে পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন উমেশ যাদব এবং মোহম্মদ শামিও। একদিনের ক্রিকেটে পেস আক্রমণভাগ সাজাতে জটিল সব হিসেব নিকেশের মধ্যে পড়তে হচ্ছে নির্বাচককদের। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে পেস বোলারদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। কাকে রেখে কাকে একাদশে সুযোগ দেয়া হবে সেই দ্বিধা দেখা গিয়েছে সবসময়।
নজর দেওয়া যাক সেই চারজন পেস বোলারের দিকে যারা আগামী বছর বসতে যাওয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে বাদ পড়তে পারেন টিম ইন্ডিয়ার দল থেকে।
৪. দীপক চহের
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ওভারপ্রতি ৭.৩ রান খরচ করে ১২ ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়া দীপক চহের সুইংয়ের উপর নির্ভর করে বল ছুঁড়ে গেলেও লাইন কিংবা লেন্থ ঠিক রাখতে পারেননি প্রত্যাশামত। ভারতের জার্সি গায়ে এখন পর্যন্ত ১টি টি-২০ ও ১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা চহের টি-২০তে ৪৩ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। তাছাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচে ৩৭ খরচা করে মাত্র একজন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠাতে পেরেছেন। তাঁর এই ম্লান পারফরম্যান্স জাতীয় দলে থাকার জন্য কতটা কার্যকর হবে সেটা বলে দেবে সময়ই।
৩. সিদ্ধার্থ কৌল
আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে বল হাতে গতির ঝড় তোলা সিদ্ধার্থ কৌল ঘরোয়া ক্রিকেটে করে যাচ্ছেন অগ্নিঝরা বোলিং। এর পুরস্কার হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন কউল। তবে এখন পর্যন্ত তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি টি-২০ ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ওয়ানডেতে ছিলেন উইকেটশূন্য। আইপিএলের গত আসরে নাকল বলে ব্যাটসম্যানদের কাবু করা এই পেসার টি-২০তে ঝড় তুললেও আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে রয়েছেন ব্যর্থ বোলারদের তালিকায়। তাই আগামী বিশ্বকাপে বল হাতে দেখা নাও যেতে সিদ্ধার্থ কৌলকে।
২. মহম্মদ শামি

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করার পর থেকে দলের নিয়মিত সদস্য হয়েই ছিলেন বাঙালি পেসার মহম্মদ শামি। প্রথম দিকে ইয়র্কার নখদর্পণে থাকলেও ২০১৫ সালে পড়া ইনজুরি আবারও মাথা চারা দিয়ে উঠে ২০১৭ সালে। অন্যদিকে চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার মধ্যখানের সময়টাতে টিম ইন্ডিয়ায় এসেছে একাধিক বিকল্প পেসার। তাই দলে জায়গা হারিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে। দলের অন্যান্য পেসারদের পারফরম্যান্স বিচার করলে স্পষ্টই দেখা যায় আগামী বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন ডানহাতি এই পেসার।
১. উমেশ যাদব
টেস্ট দলে নিয়মিত পেসারে পরিণত হওয়া উমেশ যাদব ওয়ানডে ফরম্যাটে দলে জায়গা নড়বড়ে। ওয়ানডেতে বিকল্প পেসার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া এই ফাস্ট বোলার গত তিনটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে ছিলেন একাদশের বাইরে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭৫ ম্যাচে ১০৬ উইকেট শিকার করা যাদব ডেথ ওভারে প্রতিপক্ষ দলের রান আটকাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই মূলত স্কোয়াডে রয়েছেন অনিয়মিত। সকল হিসেব কষলে যে ফলাফলটা সামনে আসে তা হলো ২০১৯ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে হয়তো থাকছেন না উমেশ যাদব।