২০০৭ এ ভারতীয় দল রাহুল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে ওয়েস্টইন্ডিজ বিশ্বকাপে অংশ নিতে গিয়েছিল। দলের সঙ্গে শচীন তেন্ডুলকর, সৌরভ গাঙ্গুলী, মহেন্দ্র সিং ধোনি, হরভজন সিং, অনিল কুম্বলের মত বড়ো বড়ো খেলোয়াড় দলের অংশ ছিলেন। প্রথম ম্যাচ সেই সময়কার সবচেয়ে দুর্বল দলগুলির একটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল। ভারত যে দল পাঠিয়েছিল তারা সেই সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দলগুলির একটি বলা হয়েছিল। অভিজ্ঞতার ব্যাপারে এই দল সবচেয়ে দুর্দান্ত দলগুলির মধ্যে একটি ছিল। সেই সঙ্গে ধোনির মত তরুণ খেলোয়াড়ও দলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই ভারতীয় দলকে হারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হারের পর এই দল লীগ চরণ থেকেই ছিটকে গিয়েছিল।
২০১১ বিশ্বকাপে সেহবাগ এভাবে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গে বদলা
২০০৭ এর বিশ্বকাপ থেকে এই দল একদম আলাদা ছিল। দলের অধিনায়ক সেই সময় ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আরো একবার ম্যাচ সেই বাংলাদেশের সঙ্গেই ছিল। কিন্তু এই ম্যাচে সেহবাগ এমন ইনিংস খেলেন যা দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন খেলোয়াড় ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেহবাগ ১৪০ বলে ১৪টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৫ রান করেছিলেন।
সেহবাগের দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য তাকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ বাছা হয়েছিল
ওই ম্যাচে কোহলিও সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেহবাগ আর কোহলির ইনিংসের সৌজন্যে ভারতীয় দল ৫০ ওভারে ৩৭০ রান করেছিল। এর জবাবে বাংলাদেশের দল ২৮৩ রানই করতে পেরেছিল। ওই ম্যাচে ভারতীয় দল ৮৭ রান জয় পায়। সেহবাগের দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য তাকে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।
এই জয়ের ধারাবাহিকতা এমন চলে ভারত বিশ্বজয়ী হয়ে যায়
সেহবাগের এই দুর্দান্ত ইনিংসের পর ভারত পুরো টুর্নামেন্টে খালি দক্ষিন আফ্রিকার কাছেই হারে। এরপর ভারতীয় দল কোনো ম্যাচ হারে নি আর বিশ্বকাপ জয়ী হয়। সেহবাগের এই ইনিংসকে আজো স্মরণ করা হয়।