ক্রিকেট খেলায় কখনো পারফরম্যান্সের পারদ উর্ধ্বমূখী আবার কখনো নিম্নমূখী হয়ে থেকে। এই রীতি যেন হয়ে গেছে চিরস্থায়ী। শুধু নির্দিষ্ট কোনো একজন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে নয় প্রায় সকল ক্রিকেটারই এই রীতির অন্তর্ভূক্ত।
জাতীয় দলে নিজের অবস্থান কেউ কেউ দীর্ঘস্থায়ী করলেও ফর্মের কারণে দল থেকে বের হয়ে যেতে হয় অনেক মহারথীদের। এমনই তিনজন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারের কথা জানা যাক যারা একসময় মাঠ দাপিয়ে বেড়ালেও বর্তমানে রয়েছেন জাতীয় দলের বাইরে।
তবে ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আবারো দলের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হতে পারেন এই তিন ক্রিকেটার।
১. যুবরাজ সিং
২০১১ বিশ্বকাপে ছয় বলে ছয়টি ছক্কা মেরে রেকর্ড গড়া যুবরাজ বিশ্বকাপের ঐ আসরে সর্বমোট করেছিলেন ৩৬২ রান সাথে হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। ২০১১ বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার ট্রফি জয়ে তাঁর যে অবদান ছিল তা স্পষ্ট সবার কাছেই।
অন্যদিকে বর্তমানে ৩৬ বছর বয়স পার করা যুবরাজ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন প্রায় একবছর আগে। বর্তমানে বিজয় হাজারি ট্রফিতে পাঞ্জাবের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার তিন ম্যচে রান করেছেন ৯১, ৪৮, ৪১। একসময় জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ যুবরাজ তাঁর এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে আবারো জাতীয় দলের দরজা খুলে যেতে পারে তাঁর জন্য।
২. গৌতম গম্ভীর
টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-২০ যে ফরম্যাটেই ব্যাট হাতে নেমেছেন ছড়িয়েছেন আলো। সাদা পোশাকে করেছেন ৪১৫৪ রান, একদিনের ক্রিকেটে ৫২৩৮ রান এবং সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-২০তে করেছেন ৯৩২ রান। যার গড় ছিল যথক্রমে প্রায় ৪২, ৪০ ও ২৭।
এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ছয়টিতেই জয় পাওয়া গম্ভীর জিতেছেন ‘অর্জুনা’ পুরস্কারও। অন্যদিকে আইপিএলেও যোগ্য নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন এই ব্যাটসম্যান। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের জয়ের নায়ক গম্ভীর সম্প্রতি বিজয় হাজারি ট্রফিতে কেরেলার বিপক্ষে ১৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় রয়েছেন সবার উপরে। তাই আগামী দিনগুলোতে নির্বাচকদের বাজির ঘোড়া হতে পারেন গম্ভীর।
৩. ইউসুফ পাঠান
২০০৭ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর পর থেকেই একের পর এক নজর কাড়া ইনিংস এসেছে পাঠানের ব্যাট থেকে। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে তাঁর চোখধাঁধানো ইনিংসের কথা মনে আছে কোটি ক্রিকেটপ্রেমিদের।
অন্যদিকে ২০১২ সালের পর থেকে দলের বাইরে থাকা ইউসুফ এখন পর্যন্ত ৫২টি একদিনের ম্যাচের পাশাপাশি খেলেছেন ২২টি টি-২০ ম্যাচও। সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে রান করার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে করছেন বোলিংও। তাছাড়া বাংলদেশে গিয়ে ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটেও একাধিক ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছেন এই ক্রিকেটার। তাই তাঁর এই পারফরম্যান্স আরও কিছুদিন জিইয়ে রাখতে পারলে আবারো আশির্বাদ হয়ে আসতে জাতীয় দলের ডাক।