২০১১ সালের ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর যুবরাজ সিং। সাম্প্রতিক সময়ে একেবারে নিজের চেনা ছন্দের ধারে কাছে নেই যুবি। এবছর আইপিএলে প্রথমে কোনও দল তাকে নেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ না দেখালেও পরবর্তী সময়ে তাকে দলে নিয়েছিল “মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স” । যদিও একেবারে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি যুবি কে।এক কোটি টাকা দিয়ে তাকে দলে নিলেও মাত্র চার ম্যাচে খেলতে দেখা গেছিলো তাকে, করেছেন ৯৮ রান। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে দলে সুযোগ পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ অবধি সুযোগ হয়নি তার এরপর থেকেই তার অবসর ঘিরে তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এবং ঘোরায়া ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চলেছেন যুবি।এমনকি এবিষয়ে বোর্ড কর্তাদের সাথে আলোচনায় বসতে চলেছেন তিনি। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অন্যতম কারন বিদেশের অন্যান্য।লিগ গুলোতে অংশগ্রহণ করা।
সম্প্রতি ইরফান পাঠানকে দেখা গেছিলো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে।যদিও পরবর্তী সময়ে এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছিলো দেশের ক্রিকেট বোর্ড।কারন নিয়ম অনুযায়ী, একজন অবসর না নেওয়া ক্রিকেটার কখনও এমন সিদ্ধান্ত একা নিতে পারে না । এক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমতি নেওয়া তার একান্ত প্রয়োজন।কিন্তু এমনটা না করায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাঠানকে। এবিষয়টি নজরে রেখেছিলো। যুবি তাই অন্যান্য দেশের লিগে অংশগ্রহণ করতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ।
এবছর তার ” টি ১০ লিগ ” এ অংশগ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে তৈরী হয়েছে জোর জল্পনা।এর আগেও এই শর্ট ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে আমরা অংশগ্রহণ করতে দেখেছি শেহওয়াগ এবং জাহির খানের মতো ক্রিকেটারকে, যেখানে অবসর নেওয়া ক্রিকেটাররাই শুধু মাত্র সুযোগ পাবেন, তাই এক্ষেত্রে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে হলে অবসর নিতেই হবে যুবি কে।
২০১১ সালে দেশের মানুষ কে বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দিতে জান লড়িয়ে দিয়েছিলেন যুবি।ব্যাটিং হোক অথবা বলিং সবেতেই নিজের সেরাটা দিয়েছিলেন তিনি।করেছিলেন ৩৬২ রান নিয়েছিলেন ১৫ টি উইকেট।পেয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
দেশের হয়ে ৩০৪ টি একদিবসীয় ম্যাচ খেলেছেন।করেছেন ৮৭০১ রান,নিয়েছেন ১১১টি উইকেট।অন্যদিকে ৪০ টি টেস্ট ম্যাচে করেছিলেন ১৯০০ রান।দেশের হয়ে ৫৮ টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে করেন ১১৫৭ রান।