সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই মুহূর্তে পুরো ক্রিকেট বিশ্বের তারকা খেলোয়াড়রা একজুট হয়েছে। ক্রিকেট জগতে আইপিএলের রোমাঞ্চ ছেয়ে রয়েছে। আইপিএলের রোমাঞ্চের মধ্যে ক্রিকেট জগতে খুবই খারাপ খবর এসেছে, যেখানে ক্রিকেটের এক তারকার জীবনাবসান ঘটেছে।
নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেটার জন রিডের প্রয়াণ
আইপিএলের রোমাঞ্চের মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের এক তারকা ক্রিকেটারের প্রয়াণ ঘটেছে। নিউজিল্যাণ্ড ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা জন রীডের জীবনাবসান ঘটেছে। জন রীড নিউজিল্যাণ্ডের প্রাক্তন অধিনায়কও। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। জন রীডের মৃত্যু নিউজিল্যাণ্ডের সঙ্গে পুরো ক্রিকেট জগতেই শোকের ছায়া ফেলেছে। জন রীড ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় ছিলেন।
৯২ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন জন রীড
জন রীডের মৃত্যুর খবরের পর নিউজিল্যাণ্ডের ক্রিকেট বোর্ডের তরফে একটি বয়ান প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে নিউজিল্যাণ্ড ক্রিকেট দলের প্রধান আধিকারিক ডেভিড ওয়াইট বলেছেন যে, “এই দেশে প্রত্যেকটি মানুষ তার নাম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন আর আগেও থাকবেন। তার নজরে যে বিষয়ই এসেছে তিনি তাঁর জন্য রাস্তা প্রশস্ত করতে সাহায্য করেছেন”। জন রীড নিজের সময়ে একজন কৌশলী অলরাউন্ডার ছিলেন, যিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৫০ আর ৬০ এর দেশকে খেলেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৪টি টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। রীডের অধিনায়কত্বেই নিউজিল্যাণ্ড ক্রিকেট ইতিহাসে নিজেদের প্রথম টেস্ট জয়লাভ করে।
দুর্দান্ত থেকেছে রীডের ক্রিকেট কেরিয়ার
জন রীডের ক্রিকেট কেরিয়ারের কথা বলা হলে তিনি দু’বার ভারত সফরেও এসেছেন। তিনি ১৯ বছর বয়সেই ১৯৪৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক করেন আর নিজের কেরিয়ারে মোট ৫৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। এরমধ্যে তিনি ৩৪২৮ রান করার সঙ্গে ৮৫টি উইকেটও নিয়েছেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের কথা বলা হলে জন রীড ২৪৬টি ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে তিনি ৪১.৩৫ গড়ে ১৬,১২৮ রান করেছেন। তার মধ্যে তিনি ৩৯টি সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি ৪৬৬টি উইকেটও নিয়েছেন। ১৯৬৫তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসর নেওয়ার পর রীড নিউজিল্যাণ্ড ক্রিকেটের নির্বাচক হন এরপর তিনি ম্যানেজারও হন। এ ছাড়াও তিনি আইসিসির ম্যাচ রেফারিও হন।