বিশাখাপত্তনমে শুক্রবার মেগাম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস।একদিকে তিন বারের চ্যাম্পিয়ন ধোনিরা তো অন্যদিকে প্রথম বার আইপিএল ট্রফি জয়ের জন্য মরিয়া ঋষভ পন্থ রা।স্বাভাবিক ভাবেই এই ম্যাচ কে এনে দিয়েছে এক অন্যমাত্রা।আজকের ম্যাচের জয়ীরা হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দের।কিন্তু এইটাই প্রথম নয়, এর আগেও একবার এই দল মুখোমুখি হয়েছিল , এই একই পরিস্থিতির মধ্যে তা ২০১২ সালে।
দিল্লি তখন “ক্যাপিটালস” নয় ছিলো ” ডেয়ারডেভিলস ” , সেইবার দলে তারকাদের ভিড়, মাহিলা জয়বর্ধনে, ডেভিড ওয়ার্নার, আন্দ্রে রাসেল, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, রস টেলারের মতো ক্রিকেটারদের দুরন্ত ফর্মের উপর ভর করে দিল্লি সেইবার ১১ ম্যাচে জিতে ২২ পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের।যদিও কোয়ালিফায়ার ১ এ তাদের হার তাদের মুখোমুখি করে ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাইয়ের বিপরীতে কোয়ালিফায়ার ২ তে।প্রসঙ্গত, এই ম্যাচের আগে এলিমিনেটরে মুম্বাই কে হারিয়েছিলো চেন্নাই।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের সেই ম্যাচে দিল্লির বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছিলো চেন্নাই।সৈজন্যে মুরলী বিজয়ের দুরন্ত ৫৮ বলে ১১৩ রানের ইনিংস।এছাড়াও এদিন সুপার কিংস দের হয়ে স্কোর বোর্ডে রান যোগ করে মাইক হাসি ( ২০), সুরেশ রায়না ( ২৭), মহেন্দ্র সিং ধোনি ( ২৩), এছাড়াও ডয়েন ব্রাভোর করা ঝোড়ো ১২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস চেন্নাইয়ের স্কোর বোর্ডে শেষ অবধি যোগ করে ২২২/৫
এই বিরাট পরিমান রান তাড়া করতে নেমে স্নায়ুর খেলায় এদিন ব্যর্থ হন ডেভিড ওয়ার্নার ( ৩) এবং বীরেন্দ্র সেহ ওয়াগ ( ১)।বড়ো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কোর বোর্ডে দ্রুত রান যোগ করতে গিয়ে এইদিন সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।যদিও পরবর্তী সময়ে জয়বর্ধনে এবং রস টেলার রা কিছুটা হলেও ম্যাচে টিকিয়ে রাখে দিল্লিকে , কিন্তু শেষ অবধি ব্যর্থ হতে হয় তাদের।শেষ অবধি ১৩৬ রানে সব উইকেট খুইয়ে ফাইনাল যাওয়ার আশা শেষ হয়ে যায় দিল্লির।চেন্নাইয়ের হয় সেইদিন বল হাতে দুরন্ত হয় উঠেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
২০১২ এর পর ফের আজ ২০১৯, প্রেক্ষাপট একই।এবার কি ধোনিদের বিরুদ্ধে বদলা নিতে পারবে শ্রেয়স আইররা।প্রথম বারের মতো দিল্লি কে দেখবো আমরা আইপিএল ফাইনালে, নাকি আরও একবার ২০১২ এর স্মৃতি ফিরিয়ে দাপট বজায় রাখবে ধোনিরা? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আজ রাতে।