ধোনিকে ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মানতে নারাজ প্রাক্তন তারকা ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর।জানিয়েছেন পরিসংখ্যানের কথা উঠলো অবশ্যই ধোনির ধারেকাছে নেই কোনও অধিনায়ক।তবে সাফল্যের প্রসঙ্গ উঠলে এক্ষেত্রে উঠে আসবে আরও নাম।
২০০৭ এর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ এর বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ধোনির তুরুপের তাস ছিলেন গৌতম গম্ভীর।কোনও ক্রিকেট প্রেমী ২০১১ সালের ফাইনাল গম্ভীরের খেলা ৯৭ রানের ইনিংসের কথা কোনও দিন ভুলতে পারবে না।এমনকি ২০০৯ সালে টেস্ট দলের র্যান্কিংয়ের তালিকায় প্রথমে উঠে আসার ক্ষেত্রে ধোনির অবদান কখনও ভোলার নয়।
একসময় ধোনি এবং গম্ভীরের মধ্যে চলছে ” ঠান্ডা যুদ্ধ ” এমনটাই শুনতে পাওয়া গেছিলো। শুধুমাত্র তাই নয়, মুখোমুখি হলে তারা দুজনের কেউই চোখে চোখ রেখে কথা বলেনা এমনটাই শোনা গেছিলো। যদিও পরবর্তী সময়ে দুজনেই সেই সব খবরকে জল্পনা বলেই উড়িয়েছিলো।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে গম্ভীর জানিয়েছিলেন শুধুমাত্র ধোনি কেনো, আরও অনেক প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলে এমনকি বর্তমানে বিরাট কোহলি।সবার নেতৃত্বে দারুণ সাফল্য পেয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।তাদের অবদান কখনও ভোলার নয়।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে গম্ভীর জানিয়েছেন শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের দিকে লক্ষ্য রাখলে ধোনি সবচেয়ে সফল অধিনায়ক।তার মানে এই নয় যে অন্যান্য অধিনায়কের নেতৃত্বে দল খারাপ ফলাফল করেছে।এক্ষেত্রে উদাহরণ স্বরূপ তিনি টেনে এনেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ।জানিয়েছেন দাদার অধিনায়কত্বে দেশের বাইরে সাফল্য পেয়েছিলেন তারা। বিরাটের নেতৃত্বে জিতেছেন সাউথ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায়।
জানিয়েছেন যেমন দলের সাফলতার দিনে পুরোপুরি কৃতিত্ব দেওয়া উচিত নয় যেমন শুধুমাত্র অধিনায়ককে।ঠিক তেমনই দল হারলেও তার জন্য শুধুমাত্র অধিনায়ক কে দায়ী করা উচিত নয়।গোটা দলই দায়ী জয় এবং হারের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে কাউকে আলাদা আলাদা করে দায়িত্ব এবং কৃতিত্ব দেওয়ার কিছু নেই।