পাকিস্তানী চ্যানেলের একটি শো চলাকালীন শোয়েব আকতার বলেছিলেন যে হিন্দু হওয়ার কারণে দানিশ কানোরিয়ার দলে কোনো সম্মান করা হতো না। পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা তার সঙ্গে বসে খেতেও চাইতেন না। আকতার বলেছেন যে যখন আমাকে দানিশের জন্য এমন বলা হয়েছিল তো আমি সেই খেলোয়াড়দের বলেছিলাম যে আমি তোমাদের তুলে বাইরে ফেলে দেব। এই হিন্দু ছেলেটাই ইংল্যান্ডে আমাদের টেস্ট সিরিজে জয় এনে দিয়েছিল।
মদন লাল তুলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের উপর প্রশ্ন
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মদন লাল এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের বয়ানে বলেছেন,
“আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন যে পাকিস্তান থেকে কতজন হিন্দু ক্রিকেট খেলেছেন? স্রেফ ২জন হিন্দু খেলোয়াড় পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন। আমি যখন পাকিস্তানের সফর করেছিলাম, তখন আমি পরিস্কারভাবে দেখেছি যে সেখানে হিন্দুদের সঙ্গে কতটা আলাদা ব্যবহার করা হত। এটা ভালো যে এ ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে। দলে সমস্ত খেলোয়াড়দের প্রয়োজন পড়ে যে তারা একে অপরকে সমর্থন করুক আর তাদের সঙ্গে কোনো রকমের কোনো খারাপ ব্যবহার না করুক। ভারত আর পাকিস্তানে যা প্রধান ব্যবধান সেটা হলো শিক্ষার। খেলোয়াড়রা তো দুই দেশেরই যথেষ্ট প্রতিভাবান হন, কিন্তু শিক্ষা একটা বড়ো ব্যবধান”।
কানোরিয়া পাকিস্তানের সর্বশ্রেষ্ঠ স্পিনারদের মধ্যে একজন
মদনলাল আগে বলেন যে,
“শোয়েব আকতার দানিশ কানোরিয়ার জন্য যা কিছুই বলেছে যেটা ভীষণই দুর্ভাগ্যজনক। কানোরিয়া পাকিস্তানের সর্বশ্রেষ্ঠ স্পিনারদের একজন। এই অবস্থায় তার সঙ্গে এমনটা হওয়া ভীষণই বাজে বিষয়। ভারতের ড্রেসিংরুমেও খেলোয়াড়রা আলাদা আলাদা ধর্ম থেকে আসেন, কিন্তু কখন এমন কিছুই হয়নি”।
আমি খুশি যে শোয়েব ভাই এই কথা বলেছেন
দানিশ কানোরিয়া এই বিষয়টিকে মেনে নিয়ে বলেছেন,
“আমি খুশি যে শোয়েব ভাই এই কথাটা বলার সাহস দেখিয়েছেন, কারণ আমি এই কথাটা কখনো বলতে পারিনি। আমি পাকিস্তানের হয়ে নিজের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রদর্শন করেছি আর আমার এই বিষয়ে যথেষ্ট গর্বও রয়েছে। নিজের সাহায্যের জন্য আমি এখানকার আর কিছু বাইরের খেলোয়াড়দের কাছে সাহায্য চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রি ইমরান খানকেও আমি সাহায্যের জন্য বলেছি। আশা করছি যে কঠিন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানীরা আমাকে সাহায্য করবেন”।