ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে চলমান টেস্ট সিরিজটি ধীরে ধীরেই ভারতের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে। প্রথম দুই টেস্টে ভারতের ক্রিকেটারদের বাজে পারফরমেন্সের পর ক্রিকেট পাড়ায় এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আর এবারের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতের প্রাক্তন কোচ অনিল কুম্বলে ও বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রী।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন রবি শাস্ত্রীর দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে। চলুন জেনে নিই এমন তিন জন ক্রিকেটারের সম্বন্ধে যারা কুম্বলের অধীনে সুযোগ পেলেও রবি শাস্ত্রীর অধীনে এখনো দলে জায়গা করে নিতে পারেন নি-
১) জয়ন্ত যাদবঃ
জয়ন্ত যাদব একজন অলরাউন্ডার। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই সবাইকে অবাক করে এক নজর কাড়ার মত পারফরমেন্স করেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে হরিয়ানা ক্লাবের হয়ে প্রথম শ্রেণী ক্রিকেটে অভিষেক হয় যাদবের। তারপর ২০১৪-১৫ মৌসুমে হরিয়ানার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেন তিনি। ২০১৪ সালে আইপিএলে দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের হয়ে টি-২০ অভিষেক করেন যাদব। একের পর এক ভাল পারফরমেন্স করার পর ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে জাতীয় দলের হয়ে দলে ডাক পান তিনি। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে একটি ওয়ানডে ম্যাচ ও চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। চার টেস্টে শিকার করেছেন ১১ টি উইকেট। অনীল কুম্বলের অধীনে চান্স পেয়ে এইরকম পারফরমেন্স করতে পেরেছিলেন। তবে এখন রবি শাস্ত্রীর অধীনে দলে চান্স পাওয়া হয় নি তাঁর।
২) কেদার যাদবঃ
কেদার যাদব ভারত ক্রিকেট দলের নিয়মিত ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন ছিলেন। কিন্তু রবি শাস্ত্রী’র অধীনে তাঁর পক্ষে দলে জায়গা পাওয়া সম্ভব হই নি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে টি-২০ ফরম্যাটে ভাল পারফরমেন্স দিয়ে শুরু করেছিলেন। প্রথম শ্রেণী ক্রিকেটে ভাল পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করেই দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাঁর ফিনিশিং ক্ষমতা ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির মত। ভারতের হয়ে ৪০টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এবং দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। তার ব্যাটিং গড় ৩৯.৯০। বিপরীতে বল হাতেও নিয়েছেন ১৬ টি উইকেট। এরপর থেকে দলে আর সুযোগ পাননি জাদব। তিনি দলের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৮ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি।
৩) অমিত মিশ্রাঃ
২০০২ সালে অভিষেক হওয়ার পর ইনজুরির কারণে বা ভাগ্যের কারণে দলে নিয়মিত হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি অমিত মিশ্রার। এইভাবে চলতে থাকা ক্যারিয়ারে ২০০৭ সালে অনিল কুম্বলের কারণে আবার দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর আবার দারুণ ভাবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কুম্বলের পর ভারত জাতীয় দলে তিনিই একমাত্র সফল লেগ স্পিনার বোলার। বোর্ডার গাভাষ্কার ট্রফিতে অনিল কুম্বলের বদলি হিসেবে খেলতে নেমে সবাইকে অবাক করে ৭১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন মিশ্রা। কিন্তু এই পারফরমেন্স পরবর্তী ম্যাচ গুলো খেলার জন্য হয়ত যথেষ্ট ছিলোনা। কুম্বলের অধীনে এটাই তাঁর শেষ ম্যারছিল। এরপর শাস্ত্রী’র অধীনে আর দলে জায়গা পাওয়া হয়নি অমিত মিশ্রার।