রোববার ম্যানচেস্টারে মেগাম্যাচে যখন ভারতের বাজি যখন কোহলি, তখন অন্যদিকে পাকিস্তান কে আবার খানিকটা নির্ভর করতে হচ্ছে বাবর আজমের ব্যাটের ওপর।শুধু নির্ভর করার কথা বলা হলে ভুল হবে, বরং আগামীকাল যদি বিরাটদের হারাতে হয় তাহলে পাকিস্তানের বিরাটের কিছু করে দেখাতেই হচ্ছে এই ম্যাচে।
” পাকিস্তানের বিরাট কোহলি ” হ্যা এই নামেই ডাকা হয় বাবরকে। পরিসংখ্যান থেকে শুরু করে রান সংখ্যা, সব ক্ষেত্রেই কোহলির থেকে আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান আজমের।তবুও পাকিস্তানে হয়ে তার অবদান তাকে ক্রমশ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার করে তুলেছে।ইতিমধ্যে তাকে ঘিরে চড়েছে প্রত্যাশার পারদ।
ইতিমধ্যে ভারত বধের প্রস্তুতি নেওয়ার কাজে মগ্ন হয়েছেন বাবর।বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়টা পেতে হলে নিজের পারফরম্যান্স কে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে তা টের পাচ্ছেন তিনি।এইদিন কোহলির বিষয়ে ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল তার গলায়।
“পাকিস্তানের কোহলি ” বলা হলেও নিজেকে কোহলির মতো তৈরির কাজে এখন মগ্ন বাবর।ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান , দেশের হয়ে ম্যাচ জেতানোর ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করেন ঠিক তা নিজের দেশের জন্য করতে চান তিনি।এবং তা করার জন্য ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কোহলির ব্যাটিংয়ের ভিডিও দেখে নিজেকে তৈরী করছেন তিনি।
বিশ্বকাপের ম্যাচ জয় নেই ,তাই কি খানিকটা পিছিয়ে আছে তারা।বিষয়টি এমন মনে করেন না।২০১৭ এর ওভালে চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফির ফাইনালে এই ইংল্যান্ডের মাঠে ভারতকে হারিয়েছিলো পাকিস্তান।বিষয়টি তাদের দলকে মানুষিক ভাবে চাঙ্গা করে রেখেছে বলেই মনে করেন তিনি।তাই কাল জয়ের বিষয়ে আশাবাদী এই পাক ব্যাটসম্যান।
১৯৯২ এর বিশ্বকাপে প্রথম বার বিশ্বকাপের আঙিনায় মুখোমুখি হয়েছিলো এই দেশ।তারপর থেকে এখনও অবধি বিশ্বকাপে এই দুই দলের ম্যাচে ফলাফল পুরোটাই ভারতের পক্ষে।৬ – ০ , অর্থাৎ হাফডজন হারের রেকর্ড মাথায় নিয়ে আগামী কাল মাঠে নামতে চলেছেন সরফরাজের দল।যদিও দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আছে পাকিস্তান , তাদের জয়ের সংখ্যা ৭৩ , ভারতের ৫৪। কাল কি পারবে সরফরাজরা বিশ্বকাপের স্কোর টাকে ৬ – ১ করতে ?