ভারতীয় ক্রিকেট দলে বর্তমান সময়ে বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছেন। এদের মধ্যেই একজন হলেন ২১ বছরের তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ, যিনি এখন ধীরে ধীরে ভারতীয় ক্রিকেট দলে নিজের জায়গা মজবুত করে চলেছেন। ঋষভ পন্থকে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঋষভ পন্থ নিজের ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে শেয়ার করলেন কিছু কথা
পন্থের জন্য ক্রিকেটের রাস্তা সহজ ছিল না। ঋষভ পন্থ যতউ দিল্লির হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলুন কিন্তু তিনি উত্তরাখন্ড থেকে এসে দিল্লিতে স্থিতু হয়েছিলেন কারণ সেই সময় উত্তরখন্ডে বেশি সুযোগ ছিল না।
সেখান থেকে নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার সফর আর বিশ্বকাপের মত বড় টুর্নামেন্টে চার নম্বরে জায়গা পাওয়া পর্যন্ত সফরের কথা শেয়ার করেছেন। পন্থ টিম ইন্ডিয়ার সিনিয়র খেলোয়াড়দের কথাও বলেছেন।
উত্তরাখন্ড ছেড়ে দিল্লি আসার সিদ্ধান্ত ছিল বাবার
ক্রিকেট শেখার জন্য উত্তরাখন্ড থেকে দিল্লি আসা নিয়ে প্রশ্ন করায় পন্থ বলেন যে,
“এই সিদ্ধান্ত আমার বাবার ছিল, কারণ সেই সময় উত্তরাখন্ডে বিসিসিআইয়ের সংসবদ্ধতা ছিল না। এই কারণে উনি জানতেন যে উত্তরাখন্ড থেকে খেলার কোনো মানে নেই, আর আমাকে কোথাও বাইরে যেতে হত। এই কারণে উনি আমাকে দিল্লি পাঠান। যদি আপনি রাজ্য থেকে বাইরে যান তো আপনি রিস্ক নেন। কিন্তু তখন আমাকে এটা নিতে হয় কারণ যদি আমি রুড়কিতে (পন্থের হোম টাউন) খেলা চালু রাখতাম তো ক্রিকেট খেলার কোনো মানে থাকত না”।
“আমার পরিবার প্রত্যেক পদক্ষেপে আমাকে সহযোগীতা করেছে। যে পরিস্থিতিতেই আমি থেকেছি আমার পরিবারকে সবসময় পাশে পেয়েছি। তারা আমাকে সহযোগীতা দিয়েছে আর আমাকে সাহায্য করেছে। এটা নিশ্চিতভাবে চ্যালেঞ্জিং ছিল। সকলেরই একটা মুশকিল যাত্রা থাকে। আমারও একটা ছিল। কিন্তু আমি জানতাম দিনের শেষে দ্রুত বা পরে আমি সফলতা পাব”।
বিশ্বকাপে চার নম্বরে ব্যাটিং নিয়ে পন্থ বললেন এই কথা
ঋষভ পন্থকে যখন চার নম্বরে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় তো তিনি বলেন যে,
“আমি চার নম্বরে ব্যাটিং করা পছন্দ করতাম। এটা আমার জন্য নতুন কিছুই ছিল না। কারণ আমি আইপিএলে আগের মতই চার নম্বরে খেলেছিলাম। আমি ওই ভূমিকার জন্যই প্র্যাকটিস করছিলাম”।
“কিছু ওই পরিস্থিতির জন্য আপনার বিরুদ্ধে সমালোচনা এটাই থাকে যে আপনি নিজের খেলার শৈলিতে একতরফা হয়ে আছেন। অন্যদিকে চার নম্বরের পরিস্থিতির অনুযায়ী সময়োপযোগী খেলার ক্ষমতার প্রয়োজন হয়। আমার খেলার কোনো আলাদা ধরণ বা শৈলী নেই। আমি সবসময়ই পরিস্থিতির অনুযায়ী খেলি। আমি জানি না যে মানুষ কি বলেন, কারণ আমি নিউজ পেপার বেশি পড়ি না। খালি একটা জিনিস যার উপর আমি ধ্যান কেন্দ্রিত করছি সেটা হল যে আমাকে পরিস্থিতির অনুযায়ী খেলতে হবে। এটা দেখতে হবে দল আমার কাছে কি চায় আর দলকে আমি কিভাবে জেতাতে পারি”।
দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা সবসময়ই সাহায্য করেন
ভারতীয় দলে বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার মত সিনিয়র খেলোয়াড়দের কাছ থেকে শেখার প্রশ্ন ঋষভ পন্থ বলেন যে,
“এই দলের সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল যে আপনি যে কারোর সঙ্গেই কথা বলতে পারে আর তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। যদি আপনার মনে হয় যে আপনার কাছে কোনো পরামর্শ আছে তো আপনিও তাতে পিচ করতে পারেন। বিরাট ভাই সবসময়ই শোনেন, তিনি এটা কখনো ভাবেন না যে যদি তিনি অধিনায়ক হন তো তার কোনো তরুণ খেলোয়াড়ের কথা মানা উচিত না। বাস্তবে এটা আমার মত খেলোয়াড়দের ভীষণই বিশ্বাস দেয় যে অধিনায়ক আপনার কথা শুনছেন, যতই আপনি একজন তরুণ খেলোয়াড় হোন। আমার জন্য এটা অনেক বড়ো ব্যাপার”।
“অন্য সিনিয়র খেলোয়াড়রাও আমাকে সাহায্য করেন। যখন সিনিয়র খেলোয়াড়রা আপনাকে সাহায্য করেন তো তরুণ খেলোয়াড়রা এমন পরিস্থিতিতে ওভারওয়েট হয়ে পড়েন”।