এমএসকে প্রসাদের উপর আবারো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রায়না, বললেন…

বহু বছর ধরে টিম ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করা সুরেশ রায়না দীর্ঘ সময় ধরে টিম ইন্ডিয়ার বাইরে রয়েছেন। ২০১৮র পর থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে তিনি নিয়মিত আইপিএলে রান করছেন। এখন একটি ইনস্টাগ্রাম লাইভ চলাকালীন রায়না টিম ইন্ডিয়ার নির্বাচকদের উপর আঙুল তুলেছেন আর বলেছেন যে তারা সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে সোজা কথা বলেন না। তিনি সেই সঙ্গে এটাও বলেছেন যে নির্বাচকদের প্রফেশনাল হওয়া উচিত।

নির্বাচকদের সোজা কথা বলা উচিত

এমএসকে প্রসাদের উপর আবারো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রায়না, বললেন… 1

সুরেশ রায়না ২০১৮য় ইংল্যান্ড সফরের পর থেকে টিম ইন্ডিয়ায় খেলার সুযোগ পাননি। অন্যদিকে তিনি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলে নিয়মিত রান করছেন। কিন্তু নির্বাচকরা নিয়মিত তাকে উপেক্ষা করছেন। এখন একটি লাইভ সেশন চলাকালীন কথা বলতে গিয়ে নির্বাচকদের উপর প্রশ্ন তুলেছেন। তার অনুযায়ী নির্বাচকদের সোজা কথা বলা উচিত। এই ব্যাপারে রায়না বলেন,

“আমি এটা বলে আসছি যে কোথাও না কোথাও খবর থাকা উচিত। সিনিয়র খেলোয়াড়রা আমাকে সবসময় সাপোর্ট করেছেন, কিন্তু নির্বাচকরা আমার হাতে নেই। বেশকিছু ভালো নির্বাচক থেকেছেন, দিলীপ ভেঙ্গসরকার খেলোয়াড়দের সমর্থন করেছেন, কিরণ মোরে স্যার, বেশকিছু ভালো নির্বাচক ছিলেন যারা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলতেন, তা সে একজন জুনিয়র বা সিনিয়র খেলোয়াড়ই হোন না কেন”।

ধোনির কাছে শিখেছে সামনা সামনি কথা বলা

এমএসকে প্রসাদের উপর আবারো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রায়না, বললেন… 2

সুরেশ রায়না ধোনির সঙ্গে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ায় ড্রেসিং রুম শেয়ার করেছেন। এখন তিনি আইপিএলেও এমএসের অধীনে খেলেন আর তার কাছে শেখেন। এখন আগে রায়না বলেছেন,

“একজন নির্বাচকের সামনা সামনি বলার অধিকার রয়েছে। আমি এটা পছন্দ করব কারণ আমি এটা আমার বাবা আর এমএসের কাছে শিখেছি। যদি আপনি আমাকে সামনে থেকে আমার ভুল বা দূর্বলতা জানান তো আমি এটার সমাধান করব”।

খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে নেই কোনো অভিযোগ

এমএসকে প্রসাদের উপর আবারো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রায়না, বললেন… 3

রায়না আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন,

“বিরাট আমাকে নিজের ফিটনেসে উন্নতি করার জন্য বলেছেন, আমি করেছি, এই কারণে উনি আমাকে খেলতে দিয়েছেন। রোহিত সবসময়ই আমার প্রতিভাকে জানত। আমার কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গেই কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু একজন নির্বাচক হিসেবে তাদের অনেক বেশি প্রফেশনাল হওয়া উচিত। আমি কাউকে নিশানা বানাচ্ছি না। আমি স্রেফ এটা বলছি যে কখনো কখনো আপনি দেশকে এত কিছু দেন, আপনি এত মেহনত করেন, পরিবার থেকে দূরে থাকেন, আমার মনে হয় যে আমাদের এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া উচিত”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *