ভারতীয় টিমে এমনিতে তো বেশ কিছু ব্যাটসম্যান রয়েছে, কিন্তু সুরেশ রায়নার গুনতি ভারতীয় দলের ভরসাযোগ্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যেই হয়। ভারতীয় দলের দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না আজ নিজের ৩২তম জন্মদিন পালন করেছেন। রায়নার জন্ম ২৭ নভেম্বর ১৯৮৬তে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে হয়েছিল।যতই এই মুহুর্তে রায়না দল থেকে বাদ পড়ুক, কিন্তু ইন্ডিয়ান টিমের এই দুর্দান্ত খেলোয়াড় নিজের দমে ভারতকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। শুধু ব্যাটিংয়েই নয় বরং রায়না ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত। সুরেশ রায়নার নাম সেই ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে শামিল করা হয় যারা ভারতীয় দলের ভেতরে ফিল্ডিংকে নতুন মোকামে পৌঁছে দিয়েছেন।
কোথা থেকে শিখেছেন ক্রিকেটের কৌশল
এই খেলোয়াড় নিজের ক্রিকেটের শুরুয়াত লখনউ থেকে করেছিলেন।লখনউ থেকে তিনি সম্পূর্ণরূপে ট্রেনিং নিয়ে ক্রিকেটের কৌশল শিখেছিলেন। যারপর এই খেলোয়াড় উত্তরপ্রদেশের অনুর্ধ্ব ১৬ দলের অধিনায়ক হয়ে যান।এখানে তার প্রদর্শন ভারতীয় নির্বাচকরা যথেষ্ট বেশি পছন্দ করেছিলেন।আপনারা জেনে অবাক হবে যে যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় অনুর্ধ্ব ১৯ দলে রায়নার নির্বাচন হয় তখন তার বয়েস মাত্র ১৫ বছর ছিল। ইংল্যাণ্ডের সফরে এই দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান দুটি হাফসেঞ্চুরি করে সকলের ধ্যান নিজের দিকে আকর্ষিত করেন।ব্যাস এখান থেকেই রায়নার ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য সফর শুরু হয়ে যায়। রায়নাকে ২০০৫ এ ভারতীয় সিনিয়র দলে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। যারপর আজ পর্যন্ত তিনি কখনো পেছনে ফিরে দেখেন নি।
রায়না ১৩ বছর পর্যন্ত খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
ক্রিকইনফোর ডাটা অনুসারে এই খেলোয়াড় ২০০৫ এ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন। যেখানে তিনি বিশেষ কিছুই প্রদর্শন করতে পারেননি। রায়না ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপরই যেমন যেমন বছর এগোতে থাকে তেমনই রায়নার স্কোরও বাড়তে থাকে। রায়না ভারতের হয়ে এখনো পর্যন্ত ২২৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তিনি ৩৫.৩১ গড়ে ৫৬১৫ রান নিজের নামে করেছেন। এই সংখ্যক ম্যাচে তিনি ৫টি সেঞ্চুরি এবং ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। জানিয়ে দিই যে রায়নার নামে টি-২০তে দুটি সেঞ্চুরি করার রেকর্ডও রয়েছে।
লাভ লাইফও যথেষ্ট রোমাঞ্চকর
খালি ক্রিকেট কেরিয়ারই নয় বরং এই খেলোয়াড়ের লাভ লাইফও যথেষ্ট রোমাঞ্চকর। সুরেশ রায়না ২০১৫য় প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর সঙ্গে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ করেছিলেন। জানিয়ে দিই যে প্রিয়াঙ্কা এবং রায়না যথেষ্ট পুরোনো বন্ধু। প্রিয়াঙ্কার বাবা রায়নার স্কুলের স্পোর্টস টিচার ছিলেন তো প্রিয়াঙ্কার মা আর রায়নার মা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। যে কারণে দুই পরিবারের সহমতিতে এই দুজনের বিয়ে ধুমধাম করে হয়।