কলকাতার ইডেন গার্ডেনে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যে চলতি আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচ গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ১৩ রান জয় হাসিল করে। প্রথমে ব্যাট করতে নামা সানরাইজার্স শুরুটা দুর্দান্ত করে। কিন্তু শিখর ধবন এবং ঋদ্ধিমানের আউট হওয়ার পর তাদের নিয়মিত অন্তরালে উইকেট পড়া শুরু হয়। কিন্তু শেষ দিকে রশিদ খান বিস্ফোরক ব্যাটিং করে ১০ বলে ৩৪ রান করে দলের রানকে ১৭৪ এ পৌঁছে দেন। এর ফলে কেকেআরের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৭৫ রান। হায়দ্রাবাদের হয়ে শিখর ধবন এবং ঋদ্ধিমান সাহা ৩৪ এবং ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। কেকেআরের হয়ে কুলদীপ যাদব চার ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২উইকেট নেন।
১৬০ রান তোলে কেকেআর
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স ধামাকেদার শুরুয়াত করে প্রথম ৬ ওভারে ৬০ রানের বেশি তুলে দেয়। কিন্তু মাঝের ওভারে নিয়িমিত অন্তরালে কেকেআরের উইকেট পড়া শুরু হয়। যার ফলে তাকে হারের সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে ক্রিস লিন ৪৮ এবং শুভমান গিল ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। হায়দ্রাবাদের হয়ে চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রশিদ খান।
জেতার পর অধিনায়ক উইলিয়ামসন যা বললেন
এই ম্যাচ জেতার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জানান, “দলের ছেলেদের এটা দারুণ লড়াকু প্রচেষ্টা। কলকাতা একটা দুর্দান্ত দল। ম্যাচটা যে কোনও দিকেই যেতে পারত। কৃতিত্বটা ছেলেদের যেভাবে ওরা একটি প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ণ স্কোর পেতে সাহায্য করে প্রথম ইনিংসে। শুরুতে ম্যাচটা হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, কিন্তু আমরা জানতাম যে যদি আমরা নিজেদের ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমরা মাঝের দিকে ফিরে আসতে পারব”।
তিনি রশিদ খানের প্রশংসা করে বলেন, “ও (রশিদ) দুর্দান্ত, কিন্তু ও একটা অন্য খেলাই খেলেছে, তাই ওকে আমরা মুড়ে রাখার চেষ্টা করব। ও আমাদের জন্য দারুণ একটা মরশুম এনে দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ হল আমাদের এগোতে হবে এবং ফাইনালে ফোকাস করতে হবে। দল হিসেবে আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছি এবং এটা আজকে আবারও আমরা দেখিয়েছি। রশিদের মত একজন এ ক্ষেত্রে সঠিক উদাহরণ। অসাধারণ প্রতিভা, কিন্তু ওর একটা দারুণ অ্যাটিটিউড রয়েছে। সত্যিকারের দলগত প্রচেষ্টা। এটাই সেই অ্যাটিটিউড যা আমরা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের আউটফিটের কাছ থেকে চেয়েছিলাম। ও অবশ্যই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার যোগ্য, এবং দুর্দান্ত ছিল, কিন্তু অনেক লোকেরই যোগদান ছিল। যে জিনিসটা আমরা বদলাই নি তা হল আমাদের ভারসাম্য”।
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামা নিয়ে তিনি আরও জানান, “অবশ্যই আমাদের চোট রয়েছে, সাহা চোট পেয়েছিল। ও আবার ফিরে এসেছে, ওর অভিজ্ঞতা পাওয়াটাও দারুণ। গোস্বামী ভাল যোগদান দিয়েছে, কিন্তু আমাদের জন্য বড় ব্যাপার হল ফাইনালে সেই অভিজ্ঞতাটা পাওয়া। আরও গোটা দুয়েক বদল ছিল, এবং এভাবেই এটা গিয়েছে। এই ছেলেদের প্রত্যেকেই বড় ভূমিকা নিয়েছে, তা তাদের যোগদান মাঠেই হোক বা মাঠের বাইরে। এটা বিশাল সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কিন্তু এখনও আমাদের আরও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। ওরাও বেশ ভাল ক্রিকেট খেলছে (সিএসকে)। এবং ওরা অবশ্যই ফাইনালটাও দাবী করে। এটা দারুণ উৎসব, এমন কিছু যেটার জন্য ছেলেরা সামনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এখন পরের ম্যাচের দিকে ফোকাস করার সময়, যার জন্য ছেলেরা উৎসাহিত হয়ে রয়েছে”।