বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল গত বেশ কিছু সময় ধরে দুর্দান্ত প্রদর্শন করে চলছে। ভারতীয় দল তিন ফর্ম্যাটেই দুর্দান্ত প্রমানিত হয়ে চলেছে কিন্তু এশিয়ার বাইরে যেতেই বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব বিশেষ করে টেস্টে ম্যাচে প্রশ্নের মধ্যে থাকে যাতে তিনি পাশ করতে পারে না। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা আর এখন ইংল্যান্ডে পাওয়া টেস্ট সিরিজ হার বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব কৌশলের উপরেই প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে।
সুনীল গাভাস্কার বললেন, কোহলির এখনও প্রয়োজন অধিনায়কত্ব শেখার
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতকে ১-৪ এর বড় ব্যবধানে হারের মুখে পড়তে হয়েছে। এই লজ্জাজনক হারের পর প্রাক্তণ ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার পরিস্কার জানিয়েছেন যে বিরাট কোহলিকে এখনও অধিনায়কত্ব শেখার প্রয়োজন রয়েছে।
বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব দেখা গিয়েছে কিছু কমতি
সুনীল গাভাস্কার জানিয়েছেন যে, “ওকে (বিরাট কোহলি) এখনও যথেষ্ট শেখার প্রয়োজন রয়েছে। যেমনটা আমরা প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা আর এখন ইংল্যান্ডে দেখেছি। যেখানে অনেক উদাহরণ দেখতে পাওয়া গেছে যাতে সঠিক ফিল্ডিং প্লেসমেন্ট বা বোলিংয়ে সঠিক সময়ে পরিবর্তন বড় ব্যবধান হতে পারত। এই সমস্ত ব্যাপারই আবার গায়েব ছিল। অধিনায়কত্ব পেয়েছে ২ বছরের বেশি হয়ে গেছে যেখানে কিছু অভিজ্ঞতার কমতি দেখা গেছে। আর যে অভিজ্ঞতা ছিল সেটা ভারতীয় পিচে ছিল যেখানে উইকেট দ্রুত পড়ে। ওর ভালো পার্টনারশিপ ভাঙার অভিজ্ঞতা নেই। আশা করছি যে ও অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় শিখে যাবে। ও নীচের দিকের ব্যাটসম্যানদের বেশি লয় হাসিল করতে দেবে না”।
আমাদের এখনও বেশ কিছু ক্ষেত্রে শুধরোবা প্রয়োজন
অস্ট্রেলিয়ার সফরের এই দলে পরিবর্তন নিয়ে সুনীল গাভাস্কার জানান, “ আপনার বড় পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই কারণ এতে পুরো দলের ছন্দ আর আত্মবিশ্বাসকে সমস্যায় ফেলবে। কিন্তু আপনার সেই সব জায়গাগুলিকে খুঁজে বের করার প্রয়োজন রয়েছে যেখানে আপনার মনে হয়েছে কমজোরি ছিল। সেগুলো সঠিক করার প্রয়োজন রয়েছে। সময়ের প্রয়োজন রয়েছে আর আপনাকেও সৎ হতে হবে, এটা দেখার জন্য যে সেই জায়গাগুলি যেখানে আমরা স্পষ্টরূপে কাজ করি নি। সেই জায়গাকে ভরাট করার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের ওপেনিং জুটি নিয়ে ভাবতে হবে, মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান আ অলরাউন্ডার্সদেরও পিচ আর বিপক্ষের আধারেই ধ্যান দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে”।
লক্ষ্য বড় ছিল কিন্তু ড্র করা যেত ম্যাচ
ইংল্যান্ডের দ্বারা দেওয়া ৪৬৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, “৪৬৪ একটি উঁচু পাহাড়ে চড়ার মত ছুল। সতভাবে বলতে গেলে টি ব্রেক পর্যন্ত আমার মনে হয়েছিল ভারত এই ম্যাচকে ড্র করতে পারে, আর শেষ পর্যন্ত ৪০০ বা ৪১০ রানে ৬ অথবা ৭ উইকেটই হারাবে। আমি সেই সময় পজিটিভ ছিলাম কারণ এটা হতে পারত, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেএল রাহুল আউট হয়ে যায় আর তার পেছনে পন্থও আউট হয়ে যা। এটা ম্যাচে বাঁচানোর চেষ্টা করার একটাই প্রশ্ন ছিল যতক্ষণ জিমি অ্যাণ্ডারসনকে নতুন বল না দেওয়া হয়”।