একেবারে টানটান পরিস্থিতিতে চলছে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্ট। দুইদিনে যে পর্যায়ের ক্রিকেট দেখিয়েছে দুটি দল, তাতে বাকি তিন টেস্টে আরও উত্তেজনা অপেক্ষা করছে, তা বলাই চলে। কিন্তু প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে যেভাবে ভারতীয় বোলাররা চাপ তৈরি করেছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের উপর, তা দেখার মত ছিল। উমেশ যাদব, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এই আক্রমণকে সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের।
একা মার্নাস লাবুশানে এবং টিম পেইন ছাড়া আর কোনও অসি ব্যাটসম্যানই সেভাবে দাপটের সাথে খেলতে পারেননি। ১৯১ রানে অল আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু আরও কম রানে তারা আউট হতে পারত। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা যতটা দাপটের সাথে বোলিং করেছেন, ফিল্ডাররা সেরকমই একাধিক সুযোগ হারিয়েছেন। পৃথ্বী শ থেকে শুরু করে মায়াঙ্ক আগরওয়াল, জসপ্রীত বুমরাহ, এমনকি ঋদ্ধিমান সাহাও বেশ কিছু ক্যাচ ফেলেছেন। আর ভারতের এমন ফিল্ডিংয়ের দশা নিয়ে চিন্তিত ক্রিকেটপ্রেমীরা।
ভারতের এমন করুণ ফিল্ডিং প্রদর্শন নিয়ে প্রবল সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞ ও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। এমনকি, ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার ভারতের এমন জঘন্য ফিল্ডিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এবার দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় ফিল্ডিং নিয়ে বড় কটাক্ষ করেন কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার। ভারতের কিংবদন্তী এই ওপেনার মজার ছলে হলেও কটাক্ষের সুরে ভারতের ফিল্ডারদের বিঁধেছেন।
এই টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় রয়েছেন গাভাস্কার। এবং যখন মার্নাস লাবুশানের ক্যাচ ড্রপ করেন পৃথ্বী শ, তখন আর নিজেকে সামলাতে পারেননি সুনীল গাভাস্কার। কমেন্ট্রি বক্সে বসেই তিনি বলে ফেলেন, “আমি শুধু এটুকু ভাবতে পারি যে ভারতীয়রা ক্রিসমাস পালনের মুডে রয়েছে। এক সপ্তাহ আগেই তাদের ক্রিসমাসের উপহার দিয়ে দিচ্ছে।”
এর আগে মহম্মদ শামির বলে মার্নাস লাবুশানের ক্যাচ মিস করেন জসপ্রীত বুমরাহ, এরপর ক্যাচ মিস করেন পৃথ্বী শ। অন্যদিকে, সহজ একটি ক্যাচ মিস করেন মায়াঙ্ক আগরওয়ালও, যিনি একজন দুরন্ত ফিল্ডার হিসেবে বিবেচিত। এদিকে দুটি কঠিন ক্যাচ মিস করেন উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা, যা তার স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ক্যাচ হওয়ার যোগ্য ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের ব্যাটিং ধসকে আটকাতে পারেননি অসি ব্যাটসম্যানরা।